মোহাম্মদ আবুল হোসেন: বৃটিশ পার্লামেন্টে ইতিহাসে প্রথম সমকামী দু’জন পুরুষ বিয়ে করলেন। তাও তারা যেমন তেমন ব্যক্তি নন। তাদের একজন ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস ব্রায়ান্ট। অন্যজন বাণিজ্যমন্ত্রী জারেড ক্রেনি। দু’জনেই লেবার দলের।
এ সময় তাদের পরনে ছিল একই রকম পোশাক। দু’জনেই পরেছিলেন সাদা শার্টের ওপর কালো ব্লেজার ও হাল্কা বেগুনি রঙের টাই। শনিবার হাউজ অব পার্লামেন্টে এমপিদের ডাইনিং রুমে অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী এ বিয়ে। রাতের আলোতে টেমস নদীর পানি যখন ঝলমল করছিল তখন তাদের এ বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির ডেপুটি নেতা হ্যারিয়েট হারম্যান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড, হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ। এ খবর নিয়ে বৃটিশ পত্রপত্রিকা ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশ করে।
তাতে বলা হয়, ওই দুই মন্ত্রীকে তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য অনুমতি দেন স্পিকার জন বারকাউ। এর পরই তাদের বিয়ের আয়োজন হয়। ব্রায়ান্ট জন্মেছিলেন কার্ডিফে। তিনি একটি সমকামী বিষয়ক ওয়েবসাইটে বেশ পরিচিত মুখ। গত এপ্রিলে স্থানীয় নির্বাচনে জারেড ক্রেনির সঙ্গে পরিচয় হয় ক্রিস ব্রাইয়ান্টের।
তার পর তাদের মধ্যকার শারীরিক সম্পর্ক ধাপে ধাপে এগিয়েছে। তবে তারা যে বিয়ে করতে পারবেন এমনটা কখনও ভাবেন নি- এমন কথা বলেছেন ব্রায়ান্ট। তিনি বলেন- এমন দিন সত্যি আসবে তা ভাবতেও পারি নি। এ এক বিস্ময়কর ঘটনা। কয়েক বছর আগেও তো সমকামীতে বিয়ে হলে অনেকে নাক সিঁটকাতেন।
সেনা বাহিনীতে সমকামীরা ছিলেন নিষিদ্ধ। তাদেরকে বাচ্চা দত্তক নিতে দেয়া হতো না। পার্লামেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ব্রায়ান্ট বলেন- পার্লামেন্ট একটি বিশেষ জায়গা। সমকামীতে বিয়ের ক্ষেত্রকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানর। আমরা গর্বিত যে, এখন যুক্তরাজ্যের যেকেউ সমকামীতে বিয়ে করতে পারবেন।
এর আগে ২০০৬ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বেন ব্রাডশ সমকামীতে বিয়ে করে এমন প্রথম এমপি হওয়ার রেকর্ড অর্জন করেন। তিনি বিয়ে করেছিলেন বিবিসি’র সাংবাদিক নিল ডালগ্লেইশকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।