লেখার কিছু পাই না, তাই আবোল তাবোল লিখি
কি হৈলো এই দেশের। চারিদিকে খুন, ধর্ষন। শেষ পর্যন্ত স্কুলের আন্ডা বাচ্চা পোলাপানে প্রেম নিয়া ক্যাচাল কইরা একজন আরেক জনরে খুন করে।
কালের কন্ঠের এই খবরটা আমাদের ভাবায়। কোথাউ আছি আমরা, কোথায় যাচ্ছে এই সমাজ।
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রদের হাতে আরেক স্কুলের ছাত্র খুন
...... চট্টগ্রামে একদল স্কুলছাত্র তাদেরই সমবয়সী আরেক ছাত্রকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। নিহত ছাত্রের নাম সৌমেন বিশ্বাস অনীক (১৪)। সে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এ সময় আরো কয়েকজন ছাত্র ছুরির আঘাতে আহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে হতাহতদের সহপাঠীরা জানিয়েছে।
........
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ১০-১২ জন ছাত্র গত সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় সৌমেনের ওপর হামলা চালায়। তারা ছুরি দিয়ে সৌমেনকে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে কয়েকজন তার বুকের ওপর উঠে লাফায়। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ সময় আরো অন্তত চার ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
..........
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো শুভ ও সঞ্জিত। তবে আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিহত সৌমেন চট্টগ্রামের সালেহ জহুর সিটি করপোরেশন স্কুলের শিক্ষক বাবুল কান্তি বিশ্বাস ও সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন স্কুলের শিক্ষক ছায়া রানী বিশ্বাসের ছেলে। .......
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হত্যাকারীরা সবাই চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
এদের মধ্যে সালেহ মোহাম্মদ আকিব, মোহাম্মদ আনাস, সাকিব মাহমুদ, আবির, অনিক ও রাকিব অন্যতম। এরা সবাই রহমতগঞ্জ এলাকার 'দ্য গাইড' নামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ত।
সৌমেনের কয়েকজন সহপাঠী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, দ্য গাইড কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে কলেজিয়েট স্কুলের এক ছাত্রের প্রেম হয়। ওই মেয়েকে চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের এক ছাত্রও পছন্দ করত। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এর জের ধরে গত শনিবার বিকেলে শুভ দে নামে কলেজিয়েট স্কুলের এক ছাত্রকে সরকারি স্কুলের কয়েকজন ছাত্র মারধর করে। সৌমেন এই বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের কিছু ছাত্র কোচিং সেন্টারে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সৌমেন ও তার কয়েকজন বন্ধু কোচিং সেন্টারের সামনে যায়। তারা আসামাত্রই সরকারি স্কুলের ছাত্ররা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সরকারি স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় হাজী মুহসীন কলেজের কয়েকজন ছাত্রও ছিল বলে তারা জানায়। প্রথমে তারা সৌমেনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সৌমেন মাটিতে পড়ে গেলে তার পিঠে ও ঊরুতে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এরপর কয়েকজন তার বুকে উঠে লাফাতে থাকে। বাকিরা কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রদের খুঁজে খুঁজে ছুরিকাঘাত ও মারধর করতে থাকে।
প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট তারা এই তাণ্ডবলীলা চালানোর পর দেওয়ান বাজারের দিকে চলে যায়।
অনীকের বন্ধু নিলয় দাশ কালের কণ্ঠকে বলে, 'ঘটনার সময় সরকারি স্কুলের ছেলেরা ছুরি নিয়ে সৌমেন ও অন্যদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় সৌমেন মাটিতে পড়ে যাওয়াতে পালাতে পারেনি। আমি শুভকে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় পালাতে দেখেছি। তার কোমরে ছুরির আঘাত লেগেছিল।
' .........................................
মনে অনেক প্রশ্ন জাগে,
এই স্কুল বয়সে তাদের মাথায় লেখা পড়া রাইখ্যা প্রেম ঢুকে কেম্নে। এই পিচ্চিগুলা প্রেম পীড়িতের কি বুঝে?
খুন করার স্টাই দেখে আত্মা কাইপা উঠে এই বয়সে তাদের মনে কি রকম বিষ ঢুকে গেছে যে এভাবে সহপাঠিকে মারতেও তাদের আত্মা কাপেঁ না।
ছাত্রীরা টিজিং এর জ্বালায় স্কুলে যাইতে পারেনা।
টিজিং এর জ্বালায় আত্ম হত্যা পর্যন্ত করে।
স্কুলের পোলাপাইনে কি নৃশংসভাবে আরেকজনকে হত্যা করে।
স্কুল শিক্ষক/শিক্ষিকা দ্বারা ছাত্র ছাত্রীরা মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতিত। এমন কি যৌন নির্যাতনের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে।
হৈলোটা কি এই দেশের। আমাদের সামাজিক ও নৈতিকতা কোথায় যাচ্ছে। কি আমাদের ভবিষ্যত।
আর আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বৈয়া বৈয়া আঙ্গুল চুষে। শালারা আঙ্গুল চুষতে থাক।
----------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।