আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৌমাছির হুল ফুটিয়ে রোগ নিরাময়!

আমার সোনার বাঙলা, আমি তোমায় ভালবাসি। ঘার টেরা লোক পছন্দ করি না।

মৌমাছির কামড় খেয়ে সাধারণত মানুষ হাসপাতালে দৌড়ায়। কিন্তু বেজিংয়ের একটি ক্লিনিকে এ চিত্র ভিন্ন। সেখানে রোগ সারানোর জন্য মৌমাছির হুল ফুটাতে লাইন দেয় মানুষ।

চীনে মৌমাছির এ হুল থেরাপি ৩ হাজার বছরের পুরোনো। ২০০৭ সালে এ চিকিৎসা বৈধতা পেয়েছে। বেজিংয়ের উত্তরপূর্বে কাং তাই মৌমাছি ক্লিনিকে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রথাগত চীনা ভেষজবিদ্যা অনুযায়ী চিকিৎসা চলে এ ক্লিনিকে। মৌমাছির হুল ফুটিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতিটা অনেকটা আকুপাংচারের মতো।

পার্থক্য শুধু এই যে, ডাক্তাররা দেহের বিশেষ বিশেষ অংশে সূচ না ফুটিয়ে মৌমাছির হুল ফোটান। ডাক্তাররা চিমটে দিয়ে একটি একটি করে মৌমাছি ধরে দেহের ব্যথার জায়গাগুলোতে বসান। মৌমাছিটি এরপর হুল ফুটিয়েই মরে যায়। মৌমাছির হুল এবং বিষ কয়েকঘন্টা থেকে যায় রোগীর শরীরে। তাতেই রোগীর আরাম হয়।

ডাক্তারদের মতে, ব্যথা উপশমে মৌমাছির এ বিষ প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। ইঞ্জেকশনের মতো কাজ করে এটি। কাং তাই ক্লিনিকের চিকিৎসকরা বলেন, বাত, আর্থাইটিস ও এ ধরনের অন্যান্য রোগ সারাতে এ চিকিৎসা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই ক্লিনিকের ডাক্তার ওয়াং জিং বলেন, "অস্থি ও অস্থিসন্ধির ব্যাথার চিকিৎসায় মৌমাছির হুল থেরাপি যথেষ্ট কার্যকর। " তিনি বলেন, 'মূলত মৌমাছির বিষ দিয়ে করা এ চিকিৎসা রক্ত চলাচল ভালো করাসহ দেহের প্রদাহ ও ব্যাথা নিরাময়ে সহায়ক।

' ডাক্তাররা বলেন, এ চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত মৌমাছিগুলো ইতালি ও উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রজাতির একটি সংমিশ্রণ। মৌমাছিগুলোকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে রাখা হয়। এগুলোর হুল ০ দশমিক ৩ মিলিমিটার লম্বা এবং এতে ০ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম বিষ আছে। যা চিকিৎসার জন্য সুবিধাজনক। ডায়াবেটিস এর জন্য শিরার প্রদাহে আক্রান্ত রোগী হ্যান লাইড এ ক্লিনিকে সাতবার চিকিৎসা নেয়ার পর বলেন,' আমাকে মৌমাছির হুল ফোটানোর পর বিকালে আমার ব্যাথা চলে গেল।

পা হালকা লাগল। আমার পক্ষে হাটা সহজ হল এবং আমার পায়ের গ্রন্থি ফোলা কমে গেল। ' ডাক্তাররা বলেন, চিকিৎসা নেয়ার পর ৯০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন কিংবা তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েফিার ডটকম/এএইচ/এলকিউ/১৭৪২ঘ.

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.