ইউরোপীয় কমিশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে ভোটও হয়েছে সোমবার। কীটনাশক নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫ টি দেশ।
কিন্তু এ ভোট প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে ইইউ কমিশনের নিয়মানুযায়ী, এখন নিওনিকোটিনয়েড জাতীয় কীটনাশক ব্যবহারের ওপর দু’বছরের বাধা নিষেধ আরোপ হতে পারে।
মৌমাছির মৃত্যু পুরো ইউরোপের জন্যই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিওনিকোটিনয়েড রাসায়নিক পদার্থযুক্ত কীটনাশক মৌমাছিসহ পরাগবাহী পতঙ্গদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সে কারণেই ইউরোপীয় কমিশন এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কথা বলছে।
বিশেষ করে যেসব শস্য মৌমাছি বা অন্যান্য পরাগবাহী পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে না এমন শস্যে এ রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করার কথা ভাবছে কমিশন।
বিবিসি জানিয়েছে, কমিশন একতরফাভাবেই এ বছর ১ ডিসেম্বর থেকে এ কীটনাশক নিষিদ্ধ করতে চায়। এ ব্যাপারে আর দেরী করতে রাজি নয় তারা।
কিন্তু যুক্তরাজ্য কীটনাশক নিষিদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছে। প্রস্তাবটির বৈজ্ঞনিক ভিত্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে তারা। ৮ টি দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর ৪ দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
গত মাসেও বিষয়টি নিয়ে ভোট আয়োজন করেছিল ইইউ।
কিন্তু অমীমাংসিত ফল হওয়ায় কমিশনের প্রস্তাব সোমবার আপিল কমিটিতে পাঠানো হয়। কিন্তু আবারো এ প্রস্তাবে বিভক্তিই দেখা গেল বিভিন্ন দেশের মধ্যে।
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং স্লোভেনিয়ায় ইতোমধ্যেই নিওনিকোটিনয়েড ব্যবহারে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।