হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি। কেবল আমেরিকাতে ২০১২ সালে ৩১ শতাংশ মৌ মাছির দল কিংবা bee colonie হারিয়ে গেছে। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে গবেষকদের। এটিকে অনেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আলামত বলে মনে করছেন। তাই এবার মৌমাছির পেছনে নজরদারি করতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক।
মৌমাছির গায়ে সেন্সর লাগিবে জানার চেষ্টা করবেন ক্ষুদ্রে প্রাণীটির বিভিন্ন গোপন বিষয়।
গবেষকরা মনে করছেন, এভাবে কমতে থাকলে খুব শীঘ্রই বিলুপ্তির দিকে যাবে পৃথিবীর অতি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রাণীটি। তাই গবেষণার স্বার্থেই তারা মৌমাছির গায়ে সেন্সর লাগাবেন। খুঁজবেন মৌমাছি মারা যাওয়ার কারণ।
মৌমাছি আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলের বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এটি জীব।
কোন কারণে যদি এই প্রাণী বিলীন হয়ে যায় বা এর বংশবিস্তার ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলেও এর প্রভাব পড়বে ভয়াবহ ভাবে।
মৌমাছিদের বিপন্ন হওয়া থেকে বাঁচাতেই গবেষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মৌমাছির গায়ে বিশেষ সেন্সর লাগাবেন। এসব সেন্সর লাগাতে মৌমাছিদের কিছু সময়ের জন্য রাখা হবে ফ্রিজে। ফ্রিজে রাখার ফলে মৌমাছিরা সাময়িক ভাবে কোমাতে চলে যাবে। এসময় অবচেতন অবস্থাতেই তাদের গায়ে বিশেষ আঠার সাহায্যে লাগানো হবে সেন্সর।
এর পরে এসব মৌমাছিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেন্সরসহ মৌমাছিগুলো উড়ে যাবে নিজ নিজ কলোনিতে। আর সেন্সরের সাহায্যে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হবে এসব মৌমাছিকে। এর মাধ্যমেই জানা যাবে মৌমাছিদের নানান গোপন বিষয় যেমন, কেন তাদের সংখ্যা কমছে, তারা কি কি সমস্যায় পড়ছে ইত্যাদি।
মৌমাছিদের উপর এরূপ গবেষণার মাধ্যমে আরও জানা যাবে আবহাওয়া পরিবর্তনসহ নানান বিষয়ে অনেক অজানা রহস্য।
তবে যেভাবেই হোক মৌমাছি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে দেওয়া যাবেনা। এতে কমে যাবে গাছের পরাগায়ন। পৃথিবীতে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ খাদ্য সংকট! সূত্রঃ দি টেক জার্নাল
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।