জোরালো বাতাস, অবিরাম বৃষ্টি কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না ফুটবল ম্যাচের জন্য। শুধু প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই না, অনেক সময় বিক্ষুব্ধ দর্শকদের বিশৃঙ্খলার মধ্যে খেলা চালিয়ে যেতেও পিছপা হন না রেফারিরা। কিন্তু মৌমাছির ঝাঁক আক্রমণ করলে যে খুব দ্রুতই খেলা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ই থাকে না, সেটা খুব ভালোমতোই টের পেয়েছেন পেরুর এক রেফারি।
পেরুর প্রিমিয়ার লিগে সিএনএ লিকুইটোস ও ইউনিয়ন হুয়ারালের মধ্যকার খেলাটি সদ্যই শুরু হয়েছিল। কয়েক মিনিট পরই ফুটবল মাঠে হানা দিল একঝাঁক মৌমাছি।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিলেন দুই দলের খেলোয়াড়েরাই। মাঠে টিকতে না পেরে কিছুক্ষণ পরই তাঁরা দৌড় লাগালেন সাজঘরের দিকে।
শুধু খেলোয়াড়দের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েই শান্ত হয়নি ক্ষুব্ধ মৌমাছির দল। আক্রমণ চালিয়েছে দর্শকদের সারিতেও। মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচতে দর্শকেরাও স্টেডিয়ামের প্রধান গেটের দিকে ছুটে গেছেন পড়িমরি করে।
তবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার আশাটা তখনো ছিল রেফারির। কিন্তু মাঠেই দাঁড়িয়ে থাকার খেসারত দিয়ে মৌমাছির কয়েকটি কামড় খেয়েই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন তিনি। বলা ভালো, মৌমাছির কাছে হার স্বীকার করে বাধ্য হয়েছেন খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে। পরে চিকিত্সার জন্য চিকিত্সকের কাছেও ছুটতে হয়েছিল রেফারিকে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।