কোন সরকারী চাকুরীর জন্য তদবির করতে কত টাকা লাগে এটা আমি এতোদিন জানতাম থিয়োরিটিক্যাল কিন্তু গত ৩ দিনে আমি তা জেনেছি প্রাকটিক্যাল। ঘটনাটা আপনাদের খুলেই বলি। কিছুদিন আগে আমার এক ভাইয়ের সাব ইন্সপেক্টার পদের জন্য ভাইভা কার্ড এসেছে। আর ভাইভা কার্ড হাতে পাওয়ার সাথে সাথে মোবাইলে শুধু কল আসছে। কেউ বলছে আমাদের ভাল লিংক আছে উপর লেভেলে চাকুরীটা আমরা দিয়ে দিব টাকা দিবেন ৮ লাখ।
তাও আবার আগে দিতে হবে! শুনেতো আমাদের মাথায় হাত হ্যালায় কয় কি ৮ লাখ! আমাদের জমিজমা ভিটে-বাড়ি সব বিক্রি করলেও তো আট লাখ টাকা হবে না। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে ৯ থেকে ১০টা পার্টি যোগাযোগ করছে। তারা সবাই আমাদের সাথে নিজেরাই যোগাযোগ করছে আমরা নই। তাদের ভিতর যে পার্টি সবচেয়ে কম টাকা চেয়েছে তাহলো ৭ লাখ টাকা। কেউ বলছে আমরা ডাইরেক্ট স্বরাষ্টমুন্ত্রীর মাধ্যেমে চাকুরী দিব।
এমনকি একটা পার্টিতো বলেই ফেলল যে তারা প্রধান মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে চাকুরী দিবে। আমাদের কেউ সরকারী চাকুরী করে না তাই আমাদের এই অভিজ্ঞতা নাই। গতকাল আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এপিএস যার বাড়ি আমাদের বাড়ির কাছে সে ফোন করে বলল আপনারা যেহেতু আমার প্রতিবেশী সেহেতু আপনাদের কথা বিবেচনা করে ১০ লাখ টাকায় ঠিক করেছি। এই ফোন পেয়ে আমরা হাসব না কাদব কিছুই বুজতে পারলাম না। তবে তাদের কথা শুনে আমি সহ আমাদের পরিবের খুব মজা পেয়েছি।
শেষ মেষ আম্মার সাথে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম কারো সাথে আমরা যোগাযোগ করবো না যা হয় হবে। আমি জানি চাকুরীটা আমাদের হবে না। একেই বলে সরকারী চাকুরী! সরকার যতোই বলুক একটি পরিবার একটা চাকুরী। তা শুধু থিয়োরিটিক্যাল নট প্রাকটিক্যাল। সরকারী চাকুরী লিগ্যাল হয় না আর এটা গরীবের জন্য নয়।
হায়রে চাকুরী তুমি কোথায়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।