'প্রিয় ব্রিগেডিয়ার বজলে কাদের, পরিচালক, আসসালামু আলাইকুম, আশা করি মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে কুশলেই আছেন। পত্রবাহক আলমগীর হোসেন, ক্রমিক নম্বর ৩১৮ আমার বিশেষ পরিচিত। জানা মতে তার স্বভাব 'চরিত' ভালো। সে সিকিউরিটি গার্ড পদে চাকুরীর জন্য পরীক্ষা দিয়েছে। তাকে উক্ত পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে জোর সুপারিশ করছি।
শুভেচ্ছান্তে 'মৎস' ও পশু সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। ' ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাবুর্চি পদে চাকরিপ্রার্থী আলমগীর হোসেনের জন্য আসা একটি সুপারিশপত্র এটি। পত্রের নিচে রয়েছে নাম ও স্বাক্ষর।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৯টি ক্যাটাগরিতে লোক নেওয়া হবে মাত্র ১৭১ জন। দরখাস্ত জমা পড়েছে সাড়ে ১০ হাজার।
তদবির এসেছে তার চেয়েও বেশি_১১ হাজার। এর মধ্যে সাড়ে তিন শ তদবির হাসপাতাল পরিচালকের কাছে পেঁৗছে দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাচিপ নেতারা। এগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, সাংসদ ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষর-সুপারিশ। এছাড়া প্রায় এক শ তদবির এসেছে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। বাকিগুলো এসেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতি, আওয়ামী লীগ মেডিক্যাল ইউনিট পূর্ব ও পশ্চিম এবং হাসপাতালের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
সুপারিশের মধ্যে ১৫টি এসেছে সাংবাদিকদের কাছ থেকে
জানা গেছে, এই তদবিরের নেপথ্যে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কোনো কোনো নেতা। তবে 'ভাগ-বাটোয়ারা' নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় দু'পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছে। অবশ্য গতকাল শুক্রবারই নিয়োগ সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অনিয়ম খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
View this link
--------প্রকাশঃ কালেরকন্ঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।