ভালো মানুষ হতে চাই
আমাদের গাজীপুর জেলার শ্রমিক নেতা মরহুম আলহ্বাজ আহসান উল্যাহ মাস্টার এম পি কে যেদিন খুন করা হয়েছিল, সেদিন কি ঘটেছিল সারাদেশে।
আমি শুধু গাজীপুরের কথাই বলি।
অনেক গাড়ী ভাংচুর, গাড়ী পুড়ানো এবং প্রতিপক্ষ দলের অফিস ভাংচুর ও পড়ানো হয়েছে।
এটা ছিল সাধারন মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, এমনটিই বলেছিলেন তৎকালীন আ.লী নেতৃত্ব।
হু, মরহুম এম পি এ এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।
এটা সত্য। তাইতো তারই ছেলে যখন তৎকালীন উপ-নির্বাচন ও ২০০৯ এর নির্বাচনে মানুষোর কাছে ভোট চাইতে আসেন মানুষ তার পিতার কথা ভেবে তাকে পরপর দু'বারই বিপুল ব্যবধানে জয়ী করেন।
এটা একজন স্বাধীন দেশের এম পি র কথা বললাম। এবার আসি আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গে।
তিনি স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বাংলাদেশের প্রায় ৯৯% মানুষের আত্মার নেতা ছিলেন।
তার কন্ঠের জাদুতে লাখো মানুষ হাজির হয়ে যেত। মানুষের মুখে এখনো বলতে শুনি, "মুজিবের ভাষন, আর আইয়ুবের শাষণ। " অর্থাৎ কোনটিকেই অগ্রাহ্য করা যায় না।
আমি বলে বুঝাতে পারব না, মুজিব কত জনপ্রিয় ছিলেন।
কিন্তু যখন দেশ স্বাধীন হল, তখন আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে।
মুজিবের জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে দেশের কিছু তথাকথিক পথভ্রষ্ট সেনা কর্মকর্তা সেই মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যা করে। অবশ্য এসব সেনা কর্মকর্তাদের অনেকের সাথে মুজিব পরিবারের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল।
যাই হোক মুজিব খুন হল। অনেক লোক কাঁদলো।
তবে নীরবে, আড়াঁলে।
কিন্তু কেন এই নীরবতা ? কেন এই আড়াঁলে কান্না ? কেন কেউ এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসেনি।
একজন জনপ্রিয় আঞ্চলিক নেতার জন্য যদি তৎক্ষনিক এত কিছু হতে পারে তাহলে মুজিবের মত জাতীয় নেতার কি এর চেয়ে বেশী কিছু প্রাপ্য ছিল না ?
কেন ? কেন ? কেন ?
কি এমন কাজ করেছিল মুজিব ? যার জন্য তার এ পরিনতি হয়।
যে আ.লী এক সময় বিপুল জনপ্রিয় ছিল কেন তাদের জনপ্রিয়তা কমে গেছে।
জানার অধিকার মানুষের একটা মৌলিক অধিকার।
এটা যারা মানেন তারাই আমার এ পোষ্টে তথ্যসমৃদ্ধ অংশগ্রহণ করবেন।
প্লিজ, আবেগ আপ্লুত কিংবা বিরুধীতার খাতিরে যারা বিরুধীতা করতে অভ্যস্ত তারা দয়া করে নিজের ও আমার সময় নষ্ট করবেন না।
মানুষেরই ভুল হয়। শয়তানের একবার হয়েছিল আর হবে না। তাই আমার যদি কোন ভুল হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে নিবেন এবং শুধরে নিবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।