দূর্বোধ্যতা নয়, প্রাঞ্জলতা বা সহজবোধ্যতাই হোক রচনার ধর্ম ।
একজন লোক প্রস্রাব করছে, তো সে ঠিকঠাক কার্যটি করতে পারছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করছেন স্বঘোষিত মেধাবী । মেধাবী গভীর পর্যবেক্ষণ করে এই মতামত দিলেন যে, লোকটি প্রস্রাব করার সময় আশেপাশে ছিটেছে । সুতরাং এই লোক ভদ্রতাই জানে না ।
এদিকে অন্যের ইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকাও যে অভদ্রতা, সেটা বোধহয় তার উর্বর মস্তিষ্কে আসেই নি! হা হা ।
গল্প, গুজব লিখতে মেধা লাগে না, মেধা লাগে সমালোচনা করতে (!)
‘ফেসবুক সমালোচক’ প্রসঙ্গে বলছি । আমি তো এইসব ছাইপাঁশ লিখি না পড়ি আরকি মাঝেমধ্যে । তো বলছিলাম মেধাবী সমালোচকদের কথা । হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে জনৈক খ্যাত্ (famous!) বগ্লার লিখেছেনঃ
‘তিনি গল্পের চরিত্র পাল্টে একই গল্প বার বার উপস্থাপন করেছেন । বারবার খোলস পাল্টেছেন আরকি ।
’
আমি হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু লেখা পড়েছি, কথাটা যেভাবে পয়েন্ট আউট করা হয়েছে সেটা ঠিক নয় । আমরা প্রতিদিনই ভাত খাই, কখনো সবজী দিয়ে, কখনো ডিম ভাঁজা দিয়ে, ভাগ্যে থাকলে কখনো-বা মাছ মাংস..। ভাত কিন্তু আছেই!
প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্পের প্রেক্ষাপট একেবারে ভিন্ন হয় না, সাদৃশ্য আছেই । আমি লক্ষ করেছি, এইসব লোক সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য মানুষের সৃষ্ট কর্মের সমালোচনার পথটাই বেঁছে নিয়েছে । ফিডব্যাক হিসেবে ভার্চুয়াল জগতের বাইরে কখনো কখনো মানুষের লাথিগুতা খেয়ে, কিছু মানুষের সিমপ্যাথি কুড়াচ্ছে ।
আর সেই সিমপ্যাথি কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিয়ে যেতে চাইছে অন্য এক উচ্চতায় । বাহ!
সামাজিক যোগাযোগের কী অপব্যবহার! হায়! এরচেয়ে গল্প লেখা ভাল । কঠিন কাজ না হলেও, লেখকের নিজের মাথা থেকেই গল্পের আইডিয়াটা বের হয় । অন্যের সৃষ্টির দিকে চেয়ে থাকতে হয় না ।
*হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে উক্তির বিষয়টি একটা উদাহারণ দিলাম মাত্র ।
এমন আরও অনেক কিছুই ঘটছে আপনার আশেপাশেই...।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।