নানী, আজ তুমাকে খুব মনে পড়ছে
মনে পড়ছে তোমার কুজোঁ হয়ে যাওয়া
দেহ খানা,
তবুও ছুটে আসতে অনেক দূর থেকে
আমাদের দেখতে
মা, আমি,সিমা আর বাবাকে।
দেখতে কীভাবে?
তোমার চোখ অশুভ ছানিতে
ঢাকা ছিল।
কতবার বলেছিলে-
আমি দেখতে চাই,আমি দেখতে চাই
তোদেরকে,এ পৃথিবিকে
আমরা কেউ কোন কান দেইনি
শুনিনি তোমার হৃদয়ের কান্না।
ভেবেছি বুড়ো হয়েছো
দেখতে হবেনা এ পৃথিবি।
এখন ভাবছি,কী ভুলইনা বলেছিলাম
আমরা।
আসলে তুমি ভালবাসতে আমাদের
ভালবাসতে তোমার সারা জীবনের সম্বল
নিজের নাড়ী ছেড়া ধনদের।
তাই মৃত্যুর আগে একবার দেখতে চেয়েছিলে
তারা সুখে আছে না দুখে আছে।
তুমি আমার অর্থের হাড়িঁ ছিলে-
কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়েছি
কিন্তু, কত স্বার্থপর আমি
একদিনও যাইনি তোমায় দেখতে
তোমার মুমূর্ষু অবস্থায়।
না জানি কতটা দেখতে চেয়েছিলে
হয়তো সবাইকে বলেছিলে-
ওদের ডাকো
কেউ শুনেনি।
আমরাতো আরামেই ঘুমিয়েছি
আর তুমি মৃত্যুর সাথে লড়েছো
অবশেষে হারলে।
নিয়ে গেল তোমাকে-
দূরে, অনেক দূরে।
তবে দেখেছি তোমায়-
মৃত দেহটায়
একবার হাত বুলিয়েছিলাম
শুকিয়ে কাঠ হয়েছিলে তুমি
তোমরা সবাই সাস্থবতী ছিলে
কিন্তু, তখন কেন অত শুকনো
হয়ে গেলে,নানী?
হয়তো মৃত্যুর আগে দিনরাত ভেবেছো
আমাদের আর দেখতে পারবে কিনা,
আজ তুমি নেই
হয়তোবা তাই
তোমাকে মনে পড়ছে
বেচেঁ থাকলে,ভুলেই যেতাম।
দাদাকে দেখতে ছুটে গিয়েছি
অনেক দূরে,অনেক রাতে।
আর তুমি মারা গিয়েছো
শুনেও যাইনি তখন,
কাছেই ছিলে তুমি।
সারাত ঘুমিয়ে
সকালে গিয়েছি, তোমায়
কবরে রাখতে।
আজ তোমার দেহখানা আর নাই-
সব পচেঁ গলে গেছে।
তোমার জন্য একটু
দোয়াও করিনি খোদার কাছে
এত নিষ্ঠুর আমরা।
অথচ এ নিষ্ঠুরদের জন্যই
সব উজার করেছো তুমি।
কী দরকার এমন স্মৃতিচারণ করে
সবই প্রতারণা,ধোকাবাজিঁ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।