মঙ্গলবার বন্দর নগরীর চকবাজার প্যারেড মাঠ সংলগ্ন রসিক হাজারী লেইনে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা ইউনূসকে এই পরামর্শ দেন ওই জেলার সংসদ সদস্য মোশাররফ।
সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনে বিলুপ্ত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে সম্প্রতি ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে নিজের অবস্থান জানান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। সেটা কী জিনিস? আপনিই তো বলেছিলেন, ‘পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়’। এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ড. ইউনূসকে দিয়ে তদবির করছেন।
এরপর ইউনূসকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতি করুন। এমনিতে কোনো কথা বলার দরকার নেই। ”
‘স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র বিরোধী ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদ নিপাত যাক’ স্লোগানে এই সমাবেশে মোশাররফ বলেন, ‘‘জনগণ আমাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের ম্যান্ডেট দিয়েছে। বিচার শুরু হয়েছে। রায় হচ্ছে, রায় কার্যকর করা হবে।
রায় কার্যকরের পরই নির্বাচন হবে। ’’
হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তেঁতুল তত্ত্ব দিয়েছেন আল্লামা শফী। যদি এ তত্ত্ব মানেন, তাহলে ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। দুই কোটি মানুষ না খেয়ে মরবে। ”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিরোধী দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা সংসদকে ভয় পায়।
গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই সংসদে না গিয়ে চক্রান্ত করছে।
দেশে নতুন করে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে দাবি করে সাবেক এই মেয়র বলেন, “জীবন থাকতে তা হতে দেব না। ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা তাদের প্রতিহত করব। ”
সমাবেশে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, “ঝড় উঠলে আকাশের সব মেঘই এক হয়ে যায়।
চট্টগ্রামে আজ যে ঝড় উঠেছে, তাতে আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ। এই ঝড়ে জামায়াত-হেফাজতের মসনদ উড়ে যাবে। ”
প্যারেড মাঠ সংলগ্ন চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের আধিপত্য রয়েছে।
এ কারণে প্যারেড মাঠ সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন পরে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ছিল পুলিশের। পাশাপাশি গণি বেকারি, চকবাজার মোড়সহ কয়েকটি স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ, নগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, নগর আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, রেজাউল করিম, কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, এম এ রশিদ, বদিউল আলম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু, নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।