উপায় নাই গোলাম হোসেন ! একটা শিশু জন্মের চার বছর পর থেকেই পড়ালেখার ঘানি টানতে বাধ্য হয় ...... নামকরা স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করতে না পারলে প্রেস্টিজ থাকা দায় ... পাশের বাসার ভাবির কাছে মুখ দেখান যাবে না । পিএসসি পরিক্ষায় এ + না পেলে প্রেস্টিজ থাকা দায় ... পাশের বাসার ভাবির কাছে মুখ দেখান যাবে না আর আত্মীয় স্বজনই বা কি বলবে !! জেএসসি পরীক্ষায় এ+ না পেলে প্রেস্টিজ থাকা দায় ... পাশের বাসার ভাবির কাছে মুখ দেখান যাবে না আর আত্মীয় স্বজনই বা কি বলবে !! এসএসসি পরীক্ষায় এ+ না পেলে প্রেস্টিজ থাকা দায় ... পাশের বাসার ভাবির কাছে মুখ দেখান যাবে না আর আত্মীয় স্বজনই বা কি বলবে !! এইচএসসি এ+ না পেলে প্রেস্টিজ থাকা দায় ... পাশের বাসার ভাবির কাছে মুখ দেখান যাবে না আর আত্মীয় স্বজনই বা কি বলবে !! এজন্য কি করতে হবে ?? বাচ্চা জন্মের চারবছর হওয়ার পরই তাকে ভাল কোচিং এ ভর্তি করাতে হবে । যে করেই হোক বাচ্চাকে নামকরা স্কুলে ভর্তি করাতে হবে । প্রতিটা সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা টিচার রাখতে হবে । কোনটায় যাতে এ+ মিস না যায় । খেলাধুলা , টিভি দেখা উহু এগুলা অযথা টাইম নষ্ট ... বাচ্চাকে সার্বক্ষণিক চোখে চোখে রাখতে হবে কোনক্রমেই যাতে এ+ মিস না যায় ...... ! অভিভাবক , ছাত্র / ছাত্রীর মিলিত চেষ্টায় সরকারের আশীর্বাদে হয়ত শিক্ষার্থী এ+ পায় কিন্তু এই এ+ পেতে গিয়ে যে একটা ছাত্র / ছাত্রীর শৈশব , কৈশোর বলতে কিছু থাকে না তা কয়জনে খেয়াল করে ... একটা নার্সারির পিচ্চি ছেলে যখন বস্তার মত ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায় সেই দৃশ্য আর যাই হোক আমার সহ্য হয় না ..ক্লাস এইট এর একটা ছেলে যখন জেএসসিতে কাঙ্খিত এ+ না পেয়ে আত্মহত্যা করে সেই দৃশ্য আর যাই হোক আমার সহ্য হয় না ...... এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আমার মতে জঘন্য ... আর প্রতিবছর যে কাড়ি কাড়ি এ+ পাচ্ছে আদতে কি তারা এ+ পাওয়ার যোগ্য ...... আর একটা ছেলে যখন সবগুলাতে এ+ পেয়ে কোনখানেই ভর্তি হতে পারবে না তখন তার মনের অবস্থা কিরকম হবে চিন্তা করা যায় ......প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগে হয়তবা আত্মহত্যাও করবে !! এই শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য কত ছেলের সুস্থ সরল মন যে ইনফ্যান্টাইল লিভারে গতাসু হচ্ছে তা বলা কঠিন । কেননা দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয় , আত্মার হয় না ... ( লাইন দুইটা প্রমথ চৌধুরীর একটা লেখা থেকে নেয়া কিন্তু এটা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সাথে খাপে খাপ মিলে যায় !! ) রাজশাহীতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় হিয়াতুন্নেছা (১৪) ও রাজবাড়ীতে জোবায়ের হোসেন জাহিদ (১৩) জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।