সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে ড্রোনকে কীভাবে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যায় সে নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এবার পরীক্ষায় নকল রোধে ড্রোনকে ব্যবহার করার কথাও ভাবা হচ্ছে। যেখানে ড্রোনের কথা ভাবলেই অনেকের চোখে ভেসে ওঠে ধ্বংসযজ্ঞের কথা সেখানে ড্রোনকে আরও বন্ধুসুলভভাবে ব্যবহারেও ঝুঁকছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বেলজিয়ামের একটি স্কুল একেবারেই ভিন্ন স্বাদে ড্রোন ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তারা পরীক্ষায় নকল রোধে এখন ব্যবহার করছে ভয়ঙ্কর প্রযুক্তি বলে কুখ্যাত ড্রোনকে।
বেলজিয়ামের থমাস মোর স্কুল এরই মধ্যে মনুষ্যবিহীন এই উড়ন্ত যানের বহুমাত্রিক ব্যবহার শুরু করেছে। পরীক্ষার হলে কোনো শিক্ষার্থী যাতে অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সে জন্য ড্রোনটি উড়ে বেড়াবে ক্লাসময় এবং তীক্ষ্ন নজর রাখবে পরীক্ষার্থীদের গতিবিধির ওপর। ইতোমধ্যে স্কুলটি পরীক্ষার হলে ড্রোন দিয়ে পাহারার একটি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেছে। ভিডিওটি ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ মানুষ দেখেছে। ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, ডিজেআই ফ্যান্টম এয়ারক্রাফটের ক্ষুদ্র সংস্করণের একটি ড্রোন গোপ্রো ভিডিও ক্যামেরাসহ পরীক্ষার্থীদের মাথার ওপর উড়ে বেড়াচ্ছে।
ড্রোনটিতে সংযুক্ত আছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলো প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য ছবি তুলে পাঠাচ্ছে পরীক্ষা মনিটরিং টিমের কাছে। তাই অন্যত্র বসেই পরীক্ষকরা নজর রাখতে পারবেন পরীক্ষার্থীদের ওপর। তেমনি নজরদারির বাইরে যাবে না কারও সামান্য অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টাও। *রকমারি ডেস্ক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।