আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদ্যুত্ উত্পাদনে কয়লার ব্যবহার চান অর্থমন্ত্রী

বিদ্যুত্ উত্পাদনে গ্যাসের পরিবর্তে কয়লার ওপর নির্ভরতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী জানান, মোট বিদ্যুত্ উত্পাদনের ৭৯ শতাংশ এখনো গ্যাসনির্ভর। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে এ নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে মাথাপিছু জ্বালানির ব্যবহার।
রাজধানীর পেট্রোসেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কয়লার মাথাপিছু ব্যবহার ১৯০ কেজি। এর পরিমাণ ৫০০ কেজিতে উন্নীত করতে হবে। ২০২১ সালের আগেই কয়লার ব্যবহার বাড়িয়ে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়া অসম্ভব কিছু নয় বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
কয়লা উত্তোলন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কীভাবে তা উত্তোলন করা যায়, সেই সিদ্ধান্তই নিতে হবে এখন।

যদিও কাজটা খুব কঠিন। তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সবার সঙ্গে আলোচনা করেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ৯০০ ডলার। তিন থেকে চার বছরের মধ্যে তা এক হাজার ২০০ ডলার হবে বলে আমি আশাবাদী। তবে এটা ঠিক যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে মাথাপিছু জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই।


মুহিত বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের জ্বালানির উত্স একটি বা দুটি। আমরা এর বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছি। বিদেশ থেকে বিদ্যুত্ ও গ্যাস আমদানির কাজ চলছে। ’
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্যাস ও কয়লার উত্পাদন কয়েক গুণ বেড়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


কর্মশালা সমাপ্ত: ঢাকায় এশীয় উন্নয়ন সহযোগিতার ওপর অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ‘কার্যকর উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য বৈশ্বিক অংশীদারি’ স্লোগান নিয়ে মূলত ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন কর্মসূচির ওপর আলোচনা হয় কর্মশালায়।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ এবং ১২ দেশের ২৮ জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণে কর্মশালা শেষে ‘এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ সুপারিশমালা’ গৃহীত হয়েছে।
সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার সাফল্যের জন্য কাঠামো প্রণয়ন, উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা আদায়ের কৌশল নির্ধারণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির সহযোগিতা প্রাপ্তি ইত্যাদি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ সুপারিশমালা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রিপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সভায় বাংলাদেশসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন কর্মসূচি নির্ধারণে এ সুপারিশমালা সহায়ক বলে হলে জানান অর্থমন্ত্রী। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.