"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
বর্ণমালার চোখে জল
মাগো, চেয়ে দেখো-
তোমার দুখিনী বর্ণমালার চোখে আজ জল,
তুমি কি আঁচলে মুছিয়ে দেবে সেই জল?
ওদের হাতে আজ বিদেশী মেশিনে তৈরী বাহারি টিস্যু;
ওরা তোমার মুখের ভাষাকে তাচ্ছিল্য করে
চোখের জল মোছার বাহানায়
তোমার বর্ণমালার চোখ কচলে দিতে চায়।
ওরা কিন্ডারগার্টেনে তোমার মুখের ভাষাকে বদলে দিতে চায়।
বলো, মাগো- ওদের এতো সাহস কোথা থেকে আসে?
তোমার পরণে আজ মলিন সাদা থান,
আমি অবুঝ শিশুর মতো এখন আর একটুও কাঁদিনা।
তোমার শাড়ীর আঁচলে যেমন আদর করে
আমার চোখের জল মুছিয়ে দিতে,
আজ সেই আঁচলে তোমার বর্ণমালার চোখ মুছিয়ে দাও।
তোমার আদরের অ, আ, ক, খ আজ আবার
সরবে উচ্চারিত হোক বাংলার প্রতিটি পাঠশালায়।
অবহেলা আর অনাদরে ন্যুয়ে পড়া জরাজীর্ণ পাঠশালাগুলো
আবার নতুন বাঁশের খুঁটিতে ভর করে দাঁড়াক।
হাজারো শিশুর কন্ঠে ধ্বণিত হোক প্রিয় বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষর।
এক একটি অক্ষরের ইটে গাঁথা হোক অপ্রতিরোধ্য এক ভাষার দেয়াল-
যে দেয়াল ডিঙ্গানোর সাহস হবেনা কোনদিন অন্য কোন ভাষার।
আমার প্রিয় মাতৃভাষা হয়ে উঠুক আমার সকল গৌরবের স্তম্ভ।
মাগো- তোমার আশীর্বাদের আঁচলে আর একটিবার
তোমার প্রিয় বর্ণমালার চোখের জল মুছিয়ে দাও।
এবার আমরা সত্যি সত্যি হেসে উঠতে চাই,
একান্তই নিজের ভাষায়। আমাদের গর্বিত হাসি
রুখে দিক বিদেশী ভাষার গোপন আগ্রাসন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।