মেয়েরাও এখন পুরুষদের সমান তালে ছোটে, অফিস করে, বাজার করে। মেয়েরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে।
আমরা বসবাস করছি পুঁজিবাদী সমাজে। পুরুষতান্ত্রিক এই পুঁজিবাদী সমাজে নারীরা পণ্য হবে, এমনটাই স্বাভাবিক.........!!! সারাদিন মেয়েদের মাথায় এক চিন্তা, পুরুষের চোখে আমাকে কেমন লাগবে। সুন্দর লাগবে তো!
প্রথমে মেয়েরা অধিকার সচেতন হয়ে উঠছে, এই কথা বলে আবার এসব কথা কেনো বলছি তা ব্যাখা করছি...
এখন সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন মেলা হয়।
গাড়ির মেলা, বাড়ির মেলা, বানিজ্য মেলা আরো অনেক মেলা। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রিহ্যাব ফেয়ার। কিছুদিন আগেই টিভিতে দেখলাম রিহ্যাব ফেয়ারে বিভিন্ন স্টলে মেয়েরা দারিয়ে আছে, উৎকট সাজে। এরা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কর্মরতও নয়। তবে এরা কারা...???!!! ভারাটে সুন্দরী ! এ মেয়েদের আনা হয়েছিল প্রদর্শনীর জন্যই।
পুরুষরা যেন মেয়েদের দেখে আকৃষ্ট হয়ে স্টলে আসে।
বানিজ্য মেলায়ও এই সুন্দরীদের দেখা যায়। বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি সুন্দরীদের জোগাড় করে বিভিন্ন পণ্যের সাথে পণ্য হওয়ার জন্য। আর জ্ঞানহীন, মেধাহীন তথাকথিত সুন্দরী মেয়েরা ছোটে সেই বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য হওয়ার জন্ন, নিজেদের যৌবন দেখাতে। বিভিন্ন স্টলে হঠাৎ ভিড় বেড়ে যায় এইসব সুন্দরীদের দেখতে।
কার ফেয়ার এরকম আরেকটি জায়গা। মেয়ারা সেখানে স্বল্প বসনা হয়ে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকে একেবারে অপ্রয়োজনীয়ভাবে। গাড়ির সাথে মেয়েদের এই উৎকট প্রদর্শনীর মানে কি???!!!
পুজিবাদি সমাজ মানুষকে পণ্য করে। কিন্তু সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক বলে মেয়েরা এখানে পণ্য হয় বেশি না বুঝেই। এই মেয়েরা যদি তাদের বাইরের এই ঠুনকো সৌন্দর্যের বদলে ভেতরের সৌন্দর্যকে (জ্ঞান, মেধা, শিক্ষা) প্রাধান্য দিত তাহলে জগতে কার শক্তি আছে তাকে পণ্য বানায়? ভাড়া খাটায়???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।