কবিতা/ গল্প/ উপন্যাস/ প্রবন্ধ/ অন্যান্য
দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন, বিশ্ব দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার তাকে বারবার অকৃষ্ট করে। কিন্তু ক্রমাগত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ নগরী জুড়ে কৃত্রিম কালো হাতের ছায়া পড়েছে। অপরিকল্পিত স্থাপনা এর সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দিচ্ছে। বিশেষ করে হিমছড়ি ও ইনানীন সমুদ্র সৈকতের অপরিছন্ন দেখা গেছে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণের উৎসাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
এর জন্য অপরিকল্পিত স্থাপনা বন্ধ ও সমুদ্র সৈকতের পরিছন্নতা রাখা প্রতিটি নাগরিগের দায়িত্ব বলে তিনি জানান।
গত ১১ জানুয়ারী কক্সবাজার ত্যাগ করার আগে বিমান বন্দরে এক সাক্ষাতকারে আসাদুজ্জামান নুর এমপি একথা বলেন। গত ১০ জানুয়ারী তিনি কোডেক আয়োজিত উপকূলীয় জেলে উৎসবের শেষ দিন প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করতে তিনি কক্সবাজার আসেন। কক্সবাজারের নির্ধারিত অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি পরের দিন ১১ জানুয়ারী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, ইনানীসহ ঘুরে বেড়ান কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। ওইদিন বিকাল ৪ টা ২০ মিনিটে বিমান যোগে কক্সবাজার ত্যাগ করেন তিনি।
বিমানের উদ্দেশ্যে তিনি বিমান বন্দরে পৌঁছেন সাড়ে ৩ টায়। এর আগে তার সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি কক্সবাজার বিমান বন্দরের ভিআইপি কক্ষে বসে প্রতিবেদকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। কক্সবাজার ভ্রমণের অনূভূতি জানাতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, জীবনে অসংখ্যবার তিনি কক্সবাজার এসেছেন। আরো আসবেন।
কক্সবাজার তার ভালোলাগের স্থান। তিনি জানান,বর্তমান মহাজোট সরকার শুরু থেকেই পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে তৎপর রয়েছে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারকে নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরো ব্যাপক পরিচয় লাভ করবে।
একদিকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। অপরদিকে একজন রাজনৈতিক নেতাও। এ দু’ য়ের মধ্যে কোন পরিচয়টি দিতে তিনি আনন্দবোধ করেন? এমন এক প্রশ্নের জাবাবে এমপি আসাদুজ্জামান নুর বলেন, আমি একজন মানুষ। মানুষের পরিচয়ের বাইরে আর কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না। মানুষ হিসেবে এ দেশ ও জনগণের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।
মানুষই আমার যোগ্য পরিচয়। ” তিনি সবাইকে মানুষ হিসেবে সমাজে পরিচয় দেয়ার অনুরোধ জানান।
একই সাথে বিভিন্ন কাজে সফলতা অর্জনের নেপথ্যতার মুল কি এবং কিভাবে একজন মানুষ নানা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছেন? এ প্রশ্নের উত্তের তিনি বলেন, একজন মানুষকে অবশ্যই তার জীবনের সফলতার জন্য চেষ্টা করতে হবে। মানুষ জন্মগতভাবে সে চেষ্টা করে থাকে। তিনিও জীবনের শুরু থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সফলতার জন্য।
এক্ষেত্রে তিনি কতটুকু সফল জানেন না। দেশের নাগরিক যদি তাকে সফল মনে করেন তা তাদের নিজস্ব ধারনা বলে তিনি জানান। তবে সমাজের ভালো ও দেশের সার্বিক কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
রাজনৈতিক র্দূবৃত্তায়ন বিষয়ের এক প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান নুর একটু হেসে বলেন, সবাই এ র্দূবৃত্তায়নের কবলে বন্ধি নয়। রাজনৈতিক র্দূবৃত্তায়নের দেয়াল ডিঙ্গিয়ে সচেতন সকলকে রাজনীতিতে আসবে হবে।
একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি রাজনীতিতে আসলে রাজনীতির অঙ্গন কুলষ মুক্ত হবে। রাজনৈতিক র্দূবৃত্তায়নের পেছনে অনেকেই জড়িত। ক্ষমতার মোহে তারা এ অন্ধতার বলয় সৃষ্টি করেছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে। ক্রমাগত রাজনৈতিক দূবৃত্তায়নও কমে যাচ্ছে।
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের বিজয় এর উদাহারণ বলে জানান তিনি।
মহাজোট সরকারের একবছরে সফলতা ও ব্যর্থতা কি জানতে চায়লে তিনি বলেন, মহাজোট সরকারের এক বছর সার্বিকভাবে সফল। বিগত বিএনপি জোট ও তার পরবর্তি সময়ে দেশের অর্থনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশের মানুষ তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত ছিল। মহাজোট সরকার এ পরিস্থিতি কেটে তোলেছে।
আগামীতে তার আরো কেটে যাবে।
বিরোধীদল বিহীন সংসদের অবস্থা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিরোধী দলের উচিত সংসদে যাওয়া। জনগণের রায় নিয়ে তারা সংসদে না গিয়ে জনগণের রায়কে অশ্রদ্ধা করে যাচ্ছে। এতে জনগণের বিশ্বাস হারাচ্ছে। অপরদিকে বিরোধীদল বিহীন সংসদ কার্যকর রয়েছে।
কোনভাবে বলা যাবে না বিরোধীদল কারণে সংসদে কোন প্রভাব পড়েছে। স্পীকার বারবার তাদের সংসদে যোগদান করার আহবান জানাচ্ছে। তিনি জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিরোধীদলকে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেযার অনুরোধ জানান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে কি না এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার , ৭২ এর সংবিধান ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার করা। তার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এদেশের সকল জনগণের দাবী। এ দাবী পূরণের জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিচারের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলার মাটিতে অবশ্যই এর বিচার হবে এটা তার বিশ্বাস রয়েছে বলে জানান।
আগামী প্রজন্মেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মেধা ও জ্ঞানের মধ্যদিয়ে নিজকে যোগ্য করে তোলতে হবে।
এ দেশ অত্যন্ত গৌরব ও ঐতিহ্যের। দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে দেশের জন্য মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। প্রজন্মরা এ দায়িত্ব গ্রহণ করে বাংলাদেশ আরো বেশী সমৃদ্ধ করবে। তিনি এ প্রজন্মকে তার দায়িত্ব গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।