আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাক্ষাতকারে ডগলাস চ্যাঙ



বাংলাদেশে আসা আমার জন্য এক বিশাল অভিজ্ঞতা। এর আগে বার্লিন ও লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভলে আমি ছবি নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু ঢাকা ফিল্ম ফেস্টিভল আমার সামনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আমি এখন আমার ছবি দক্ষিণ এশিয়াতেও রিলিজ দেয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছি। বলছিলেন ডগলাস চ্যাঙ।

১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ১০ম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে তিনি এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। উৎসবে তিনিই হলেন একমাত্র নির্মাতা যিনি প্রথম ছবি নিয়ে এসেছেন। তরুণ ডগলাস চ্যাঙ চাইনিজ-আমেরকিান। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে সাহিত্যে গ্রাজুয়েশন করার পর ফিল্ম স্টাডিজে এম এ করেন। এম এ পড়ার সময়ই তিনি অ্যাসিটেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন।

এবং সিদ্ধান্ত নেন এ পথেই তিনি ক্যারিয়ার গড়বেন। তারপর ধীরে ধীরে কাজে নেমে পড়া। অ্যাবসেন্ট ফাদার ছবিটি নির্মাণের আগে তিনি বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, টিভি সিরিজ ও ফিকশন ফিল্ম তৈরি করে হাত পাকিয়ে নেন। সেসব যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জাতীয় চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হয়। ডগলাস তার অ্যাবসেন্ট ফাদার সম্পর্কে বলেন, অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করা একটি স্কুল পড়–য়া মেয়ের কাহিনী এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

আসলে এটি আমেরকিান সমাজের একটি সাধারণ ইস্যু। কিন্তু হলিউড এসব বাস্তবতাকে এড়িয়ে যায়। আমি মানুষের অর্ন্তজটিলতা, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সর্বোপরি বাস্তবতা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। তরুণ নির্মাতাদের জন্য ছবির কাজে হাত দেয়া তো মুখের কথা না, পুঁজি এখানে বড় একটা ব্যাপার। এই ব্যাপারে আপনার কী মতামত? উত্তরে ডগলাস বললেন, এক্কেবারে প্রথম ছবি হলে তো প্রযোজক পাওয়া বেশ মুশকিলই।

তবে এখন প্রযুক্তিগত ব্যাপক উন্নয়ন ঘটায় স্বল্প খরচেও ছবি নির্মাণ সম্ভব। যেমন থার্টি ফাইভে শুট করলে যে খরচ মুভি ক্যাম বা এইচডিভি ক্যামেরায় করলে খরচ এর অর্ধেক। অ্যাবসেন্ট ফাদার আমি এইচডিভি ক্যামেরায় শুট করেছি। অল্প খরচ বলে নিজের টাকাতেই এটি বানাতে পেরেছি। আমার মনে হয় তরুণরা যাদের বাজেট অল্প তারা এ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু বলতে বললে ডগলাস বলেন, আমি আগে কখনও বাংলাদেশী ছবি দেখিনি। উৎসবে ঘানি ছবিটি দেখলাম। দারুণ লেগেছে। অনেক কিছু শিখেছি এখান থেকে। জীবন যে এত কষ্টের হতে পারে আমার ধারণাই ছিল না।

সব শেষে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে ডগলাস বলেন, চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে আমি সবসময়ই আশাবাদী। কারণ এ ধরণের উৎসব দক্ষিণ এশিয়ার চলচ্চিত্র বাজারকেই সমৃদ্ধ করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.