আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উজাড় হয়ে গেছে সবুজ বেষ্টনি

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
জাহাজভাঙ্গা শিল্প স্থাপন করতে গিয়ে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ উপকূলের সবুজ বেষ্টনি উজাড় হয়ে গেছে। নতুন নতুন শিপব্রেকিং ইয়ার্ড বানাতে গিয়ে এখনও কাটা পড়ছে অনেক গাছ। অভিযোগের আঙ্গুল সরকারি দলের লোকজনের দিকে। অন্যদিকে, সেখানে একে অন্যের শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখলের প্রতিযোগিতাও চলছে। মাত্র বছর পাঁচেক আগেও সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরায় সবুজের সমারোহ ছিল।

সেখানে যে একসময় ম্যানগ্রোভের সারি ছিল এখন তা বিশ্বাস করা কঠিন। দানবাকার জাহাজ আর সেসব ভাঙ্গার এলাহি কারবারে সেখান থেকে সবুজ এখন বিলুপ্তির পথে। এ ব্যাপারে, ইপসা’র শিপব্রেকিং ক্যাম্পেইনের ফোকাল পার্সন মোহাম্মদ আলী শাহীন দেশ টিভিকে বলেন, “ওদের মধ্যে কোনোরকমের বাধ্যবাধকতা না থাকার ফলে যদি বিষয়টা এরকম হতো যে ওই বিষয়ে এনভায়রনমেন্ট সার্টিফিকেট এবং ডিক্লিনিং সার্টিফিকেট এবং হ্যাজার্ডের লিস্টগুলি যদি আমাদেরকে দিয়ে দেন তাহলেই আমরা আপনাকে এনাউন্সের সার্টিফিকেট দেবো, আদারওয়াইজ দিব না। এরকম যদি হতো তাহলে মে বি তারা ফলো করতো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে তারা জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রে কোনোরকমের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না, যে কারণে তারা পরিবেশ বিষয় মানছেন না।

” জাহাজভাঙ্গা শিল্পের কারণে এখন পর্যন্ত কত গাছ কাটা পড়েছে চট্টগ্রাম উপকূলে তার ঠিক কোনো হিসাব নেই। প্রথমে জায়গার মালিকানা দাবি করে তারপর শুরু হয় গাছ কাটা। এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুস সোবহান বলেন, “শিপব্রেকিং ইয়ার্ড করার জন্য কিছু এলাকায় সীতাকুণ্ড এলাকায় কিছু বৃক্ষ নিধন হইছে এবং এসব যারা বৃক্ষ নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে বন অধিদপ্তর মামলাও দায়ের করছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে যেটা করছি করি সেটা হচ্ছে, এ ধরনের শিপব্রেকিং ইয়ার্ড যেগুলি আছে বা যারা জাহাজ ভাঙ্গে তাদের প্রত্যেকেরই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী পরিকল্পিত ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আছে।

কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়পত্র গ্রহণ করছে না। ” একজন মালিক গাছ কেটে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের জায়গা তৈরি করলে আরেকজন এসে আবার সেই জায়গা দখল করে নেয়াই যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন দেশ টিভিকে বলেন,“পার্শ্ববর্তী এমপিসিএল-এর ইয়ার্ড আছে বিধায় আমরা অগ্রসর হইতে পারতেছি না। এরাও সুযোগ দিচ্ছেনা আমাদেরকে ঢোকার মতো। ” একইপ্রসঙ্গে অন্য আরেকজন বলেন, “এলাকায় ঢোকার জন্য এদেরকে কোনো সুযোগ দিচ্ছে না।

যেহেতু আমি এইখানে কর্মস্থলে ছিলাম দারোয়ান গার্ড হিসাবে আমাকে এমন মাইরধোর করছে এক পর্যায়ে আমি একমাস ক্লিনিকে ছিলাম। ” স্থানীয় সাংসদপুত্র এসএসআল মাসুম অবশ্য তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কারো জমি দখল হয়ে গিয়েছে—আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই আমরা জবাব দিব, সেটা ফেস করবো। কারো যদি সে ধরনের অভিযোগ থেকে থাকে তাদেরকে আমার অনুরোধ হলো তারা যেন গ্রাম্য বা সরাসরি প্রথমে আমাদের কাছে আসা উচিত।

আর না হলে গ্রাম্য আদালত আছে সালিশি অথবা জজ কোর্ট আছে সেখানে গিয়ে অভিযোগ করবে। আমরা সেখান থেকে অভিযোগ নোটিশ গ্রহণ করে সেটার উত্তর দিব। ” গাছ কাটার আড়ালের হোতারা ধরা না পড়লে আর দখলবাজি না থামালে জাহাজভাঙ্গা শিল্পকে কখনই শৃঙ্খলায় আনা যাবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্যসূত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.