সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। জীব বৈচিত্রে ভরপুর এই উদ্যানে দেখা মেলে নানা বিড়ল প্রজাতির পশু-পাখি। সারা দুনিয়ার দুর-দুরান্ত থেকে পাখি প্রেমিক ও পর্যটকরা ছুটে আসেন লাউয়াছড়া উদ্যানে। এ উদ্যানের পাশেই গড়ে উঠেছে আদিবাসি ও খাসিয়াদের বসবাস। দেশের যেটুকু বন এখনও অবশিষ্ট রয়েছে তার মধ্যে লাউয়াছড়া বনাঞ্চলও এখন অসহায় ।
দিনে দিনে হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। সুন্দর্যের মুখে কালিমা লেপনকারী বনদস্যুদের বৃ নিদনের ফলে উজাড় বনভুমিতে পরিনত হচ্ছে এ বনাঞ্চল। লোভি মানুষ গুলোর কারনে উদ্যানে ভেসে উঠছে সহস্রাধিক গাছের মুথা । ভাল মন্দ বিচার না করে বৃ নিধনের মহোৎসবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকৃতিক পড়িবেশ । পড়িবেশ ভারসাম্যহীনতার কারনে ক্রমেই বদলে যাচ্ছে বনাঞ্চলের পাÝকৃতিক চরিত্র ।
অস্তিত্ত রার সংকটে পড়েছে জীববৈচিত্রে ভরপুর বিরল প্রজাতির পশুপাখি। শুধু লাউয়াছ[ড়া নয়,মানুষ নামের অরন্যের হিংস্র পশুদের লভের কারণে দেশের প্রসিদ্ধ বনাঞ্চল হিসাবে খ্যাত সিলেট বিভাগে বর্তমানে ২৫শতাংশ বনভূমিও অবশিষ্ট নেই। কতৃêপরে বহুবছরের সীমাহীন অবহেলা, অব্যাবস্থাপনা আর দায়ীত্ব হীনতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হচ্ছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এখানে উজাড় হওয়া বনাঞ্চলে গড়ে উঠেছে লেবু বাগান , আনারস বাগান ও মৎস্য খামার । এর নির্মম শিকার স্থানীয় গরিব লোক ও প্রকৃতি।
১৯২৫ সালে ১২৫০ হেক্টর জয়গা নিয়ে প্লান্টেশন করে তৈরী করা বনরাজি এখন ঘন প্রকৃতিক বনের ধারন করলেও, সমাজের এক শ্রেনীর কন্ডজ্ঞানহীন লোভী মানুষের জন্য সঠিক ভাবে গড়ে উঠতে পাড়ছে না এ উদ্যান । ১৯৯৬ সালে সরকার শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাউয়াছড়ার সংরতি বনাঞ্চলকে ন্যাশনাল পার্ক ঘোষনা করে । তখন থেকে ইউ, এস , এইডের অর্থায়নে নিসর্গ সহায়তা প্রকল্প এ উদ্যানের বৃ ও জীববৈচিত্র রনাবেন ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার কাজ শুরু করে । বনাঞ্চলের মুল্যবান বৃ রার্থে ঘটন করা হয় প্রেট্রোলিয়াম গ্রুফ নামীয় টহল দল । কিন্তু বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে , ভেস্তে যেতে বসেছে ইউ, এস , এইডের অর্থায়নে নিসর্গ সহায়তার ৭৫কোটি টাকার প্রকল্প ।
কারণ স্থানীয় লোকের অভিমত বন বিভাগ ও নিসর্গ প্রকল্পের টহল দলের সহযোগীতায় ন্যাশনেল পার্কের মূল্য বান বৃকেটে পাচার করছে সংঘব্ধ গাছ চুর চক্র । একটি অনুসন্ধানী জরীপে দেখাযায় মার্চ ২০০৭ প্রথম সপ্তায়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্দানে সংরতি বনাঞ্চল থেকে পাচার হয়েছে ৯ল টাকার সেগুনগাছ । সেই হিসাবে এক মাসে কাটা হয়েছে ৩৬ল টাকার গাছ। এক বছরের গাছ কাটার হিসাব দাঁড়ায় ৪কোটি ৩২ল টাকা আমরা বছরের হিসাব বাদদিয়ে শুধু একমাসের হিসাবে মাসে ৩৬ল টাকার গাছ কেটে যে প্রাকৃতিক বিপর্য়য় ঘটানো হচ্ছে তা পুশিযে উঠতে আমাদের কত দিন/বছর লগবে ? যার কারণে সবুজের চাদরে ঘেরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান আজ উজার বনভূমিতে পরিনত হওয়ার পথে । সংরতি বনাঞ্চলে ২০০৫-২০০৬ সালের লাগানো বনায়ন এলাকা ছনখলা থেকে শুরু করে গুলটিলা , লতউনিরমুখ, পুরাটিলা , জোড়া সাইন বোর্ড , এনরিচমেন্ট ফারাবট, কচুউনি , চেরচেরী টিলা ও একাশি দাগের ফাইন গাছ সহ আশপাশের এলাকার সেগুণ বাগান বৃ নিধনের ফলে যেন উজার বনভুূমিতে পরিনত হয়েছে ।
লাউয়াছড়[ার শ্যামল অরন্যের সবুজ প্রান্তর ও নয়ন ভূলানো প্রকৃÝতিক পরিবেশ এভাবে নষ্টহতে দেয়া যাবেনা । দেশের প্রত্যেক নাগরিকই তাদের সৎ দায়িত্ব বোধ এড়িয়ে যেতে পাড়েন না। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ককে রার জন্য স্থানীয় সচেতন মহল ও সুশীল সমাজকে উদোগী হতে হবে। বৃ কেটে বন উজাড় করা লোভী মানুষ গুলো কিন্তু সংখ্যায় আমাদের চেয়ে অনেক কম। নিসর্গ প্রকল্প ও বনবিভাগের দায়ীত্ববান কর্তøা ব্যাক্তিরা লোভ লালসার উর্দ্ধেথেকে দায়ীত্ব পালন করলে সততার কছে আত্ম সমর্পন করবে লোভী মানুষগুলো।
যে বন আমাদের ভূ-খন্ডকে টিকিয়ে রেখেছে তা রক্ষা করা আমাদের প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।