আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যন্ত্রনার গল্প বলি - ১

আমি একজন ই-পীর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার মুক্তিযোদ্ধারা বৃহত্তর খুলনাতে যুদ্ধরত ছিলেন। সেই সময় খুলনার জামায়াতে ইসলাম, মুসলিম লীগ, নিজামী ইসলাম, ইসলামী ছাত্র সংঘ মিলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করে। এদের নেতৃত্বে ছিলো খান-এ-ষবুর, মাওলানা ইউসুফ, মাওলানা শামসুর রহমান এবং তাদের পেটোয়া বাহিনী কাজ করতো খালিশপুরের বিহারী মতিউল্লাহ গুন্ডা আর ফুলতলার হাবিবুল্লাহ। উপরোক্তদের স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারেরা মিলে খুলনার টুটপাড়া কবরস্থানের পাশে ভুতেরবাড়ীতে রাজাকার ক্যাম্প গঠন করে - এটি খুব সম্ভবতঃ বাংলাদেশের প্রথম রাজাকার ক্যাম্প। আমার যন্ত্রনা, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের একটি বিভাগ খুলনা, আর খুলনার প্রধান সড়কটির নাম ১৯৭১ এর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার খান-এ-সবুরের নামে।

স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে খুলনাবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি খুলনার প্রধান সড়কটির সাইনবোর্ডে ঐতিহাসিক "যশোর রোড" নামটি ফিরিয়ে আনা হোক। একজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বি.এল.এফ. খুলনা নোটঃ নামটি প্রকাশ করা হবে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পরে নির্দলীয় গণমঞ্চ খুলনা নিজস্ব নোটঃ ১) 'খান এ সবুর রোড' এর নাম পরিবর্তন করে যশোর রোড করার দাবিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, খুলনা শাখা গত ৩ মে/২০১২ ইং, বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। ২) ১৪ মে/২০১২ ইং, সোমবার, স্বাধীনতাবিরোধী খান এ সবুরের নামে এ রাস্তার নাম স্থগিতের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই নাম অপসারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় কেন আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে এলজিআরডি সচিব, শিক্ষা সচিব, খুলনার মেয়রকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

৩) ১১ সেপ্টেম্বর/২০১২ ইং, মঙ্গলবার, খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর ম্মারকলিপি প্রদান করেছেন। অর্থ্যাৎ, নির্দলীয় গণমঞ্চের আগেও কমপক্ষে ৩ বার মেয়রকে জানানোর পরও এ রাস্তার নাম পরিবর্তন হয়নি। এ অবস্থায়, খুলনা শহরের প্রধান সড়ক খান এ সবুর রোডের নাম পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক যশোর রোড নাম পুনর্বহাল করার জন্য কর্তৃপক্ষকে জোর দাবি জানানো উচিত। (সূত্রঃ প্রীতম দাস, ব্লগার) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.