“কাঁদতে আসিনি...
ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি...”
’৭১-এর অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ও দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে রাজধানীর শাহবাগ স্কয়ারে প্রজন্ম চত্বরে যে ব্যাপক গণজোয়ার ও প্রাণের দাবিতে এক হওয়া নির্ভীক ও সাহসী মানুষের ঢল দেখছি, তাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে নির্ভেজাল সমর্থন জানাই। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, আমরা বাঙ্গালির আসল রূপটি আবার চোখের সামনে দেখতে পারছি। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে এখন এই আন্দোলন এক মূর্ত ও শুদ্ধ গণজাগরণের প্রতীক। সারাদেশ আজ এক হয়েছে প্রাণের দাবিতে। বসন্তের প্রথম দিন, পহেলা ফাল্গুন আগুন হয়ে ঝরেছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে.,প্রতিটি বাঙ্গালির মনে এবং প্রাণে।
সারাদেশের তরুন প্রজন্মসহ সকল বয়স ও শ্রেণী-পেশার নাগরিকগণ আজ দীপ্ত শ্লোগানমূখর হয়ে আকুন্ঠ একাত্মতা ঘোষণা করেছে এই গণজাগরণের সাথে।
সবাই দীপ্ত কণ্ঠে আজ ফুঁসে উঠছে-
“মুক্তিযোদ্ধার বাংলায়.,
রাজাকারের ঠাঁই নাই...”
গগণবিদারী আওয়াজে আজ বাংলার বুকে ঘোষিত হচ্ছে-
“আর কোন দাবি নাই.,
রাজাকারের ফাঁসি চাই...”
এটা যেকোন সন্দেহ আর পশ্চাৎপদতার ঊর্ধ্বে যে, এই গণজোয়ার সম্পূর্ণ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ। যারা দেশের ‘সাধারণ জনগণ’ বলে পরিচিত, তাঁরাই আছেন এর নেপথ্যে। যেকোনো ভাবে এই আন্দোলন ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার বা বাধাগ্রস্থ করার কোন সুযোগ নাই এবং এটা নিতান্তই পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই হবে না, যদি কেউ এর মাঝে কোন প্রকার ‘কিন্তু’ খোঁজার চেষ্টা করে।
এ এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ এবং গণবিস্ফোরণ।
ছাত্র-জনতা,কৃষক-শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, কেরানী,আমলা, কবি-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক কর্মী- কে নেই সেখানে...!!?? সবাই এক কণ্ঠে স্ফুলিঙ্গ ঝরাচ্ছে-
“এক দফা, এক দাবি.,
রাজাকারের ফাঁসি দিবি...”
দিনটি ছিল গত ৬ ফেব্রুয়ারী- কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ‘কসাই কাদের’-এর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর স্তম্ভিত হয়ে পরে দেশের সর্বস্তরের জনতা। ফাঁসির দাবিতে সবাই সংগঠিত হতে থাকে শাহবাগ স্কয়ারে। অতি দ্রুত সে ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের সর্বপ্রান্তে।
’৭১-এ মুক্তির দাবিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেক মুক্তিযোদ্ধারাও অংশগ্রহণ করেছে এই তুমুল গণজোয়ারে। মুহুর্মুহু শ্লোগানে ও প্রতিবাদে তারা আবার ফিরিয়ে এনেছে ’৫২, ’৬৯, ’৭০ ও ’৭১-এর সেই স্মৃতিময় অগ্নিঝরা দিনগুলোকে।
আবারও তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে-
“জ......য় বাংলা” বা
“তোমার আমার ঠিকানা.,
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা...”
তারা সবাই একমত হচ্ছেন যে, এরূপ গণজাগরণ তারা কখনো দেখেনি।
একাত্মতা জানাতে গত ১১ ফেব্রুয়ারী এসেছিলেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মহান ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন, যিনি ’৫২-এর দিনগুলোতে এই একই রাজপথে ফুঁসে উঠেছিলেন ভাষার দাবিতে। তিনিও একাত্মতা পোষণ করতে অসুস্থ শরীর নিয়ে চলে এসেছিলেন এই গণজাগরণের মঞ্চে। তাঁর কণ্ঠেও একই ভাষা-‘এই রকম গণজোয়ার আমি ইতঃপূর্বে দেখিনি। তোমরা চালিয়ে যাও তোমাদের আন্দোলন...’ ।
আজ আবারও শহীদ-জননী জাহানারা ইমামের অসমাপ্ত সংগ্রামকে পুনর্জাগরিত করতে ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সেই একই রাজপথে প্রাণের দাবিতে একত্রিত হয়েছে তাঁর সন্তানেরা। তাঁর দেখানো আলোতেই আজ উদ্ভাসিত হচ্ছে সমগ্র দেশ., সমগ্র জাতি...।
এই আন্দোলনে প্রাণের দাবিতে জনগণ কতটা নিবেদিত ও উন্মুখ, তা বুঝতে হলে কয়েকটা উদাহরণই যথেষ্ট-
দিনের পর দিন নামমাত্র খাবার গ্রহণ করে এবং কয়েকবার পানি খেয়েই প্রাণের দাবিতে শ্লোগান দিয়ে গেছেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী লাকী আক্তার, যিনি ইতোমধ্যেই ‘শ্লোগান-কন্যা’ উপাধি পেয়েছেন-তিনিসহ আরো কয়েকজন উদ্দীপ্ত তরুণ-তরুণী একটানা দীপ্ত শ্লোগানে মাতিয়ে রেখেছেন সমগ্র গণজোয়ার। তারা খেয়ে না খেয়ে শ্লোগান দিতে দিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন।
রোদে পুড়ে অনেক মায়েরা দুধের বাচ্চা নিয়ে মিলিত হয়েছেন এই গণজোয়ারে।
পি.জি. হসপিটালের দু’জন আয়ার কথা শুনলাম, যারা সারা রাত থাকার পর সকালে ডিউটিতে যান এবং কাজ শেষে বিকালে পুনরায় যোগ দেন আন্দলনে। ৩-৪ দিনের মাঝে এক দিনও বাড়ি যাননি তারা। তাদের কণ্ঠে আগুন ঝরে পড়ে, যখন তাআ চিৎকার করে বলেন যে,
“আমরা বাড়ি যাচ্ছি না..,
বেঈমানদের ছাড়ছি না...”
শুনতে অবাক লাগলেও, মুক্তিযুদ্ধে স্বজনহারা এই মানুষেরাই জানেন যে, কতখানি বেদনা বুকে চাপা দিয়ে তারা এক হয়েছেন এই গণজোয়ারের সাথে। এরকম উদাহরণ হাজার-হাজার।
এমনও কয়েকটা ঘটনা সংবাদপত্রে দেখলাম যে, এক ব্যাক্তি রিকশা করে সমাবেশে আসার সময় আজিজ সুপার মার্কেটেরে সামনে রিকশা থেমে গেল, যেহেতু সেখান থেকেই গণজোয়ারের শুরু। এরপর ভাড়া দেওয়ার সময় রিকশাওয়ালা বললেন, মামা,একটা কথা কইতাম। ঐ ব্যাক্তি বুঝে নিল যে, কথাটা কি, ভাড়া বেশি দিতে হবে। কারণ চারদিকে চরম যানজট। সামান্য বৃষ্টি বা রোদেই ভাড়া বেশি চাই., আর এই সুযোগে তো চাইবেই।
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ভাড়া বেশী দিতে হবে?
হতবাক করে দিয়ে রিকশাওয়ালা জানালেন যে, ‘ভাড়াডা নিবার চাই না,মামা। আর কোনভাবে তো পারুম না, এ্যামনেই যদি একটু অবদান রাখবার পারতাম...’।
এসব থেকে স্পষ্ট যে, দেশের সর্বত্র এই গণবিক্ষোভ ও গণজোয়ার, যার এক দাবি, এক চাওয়া-
“ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই.,
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই...”
জাতীয় সংসদে এই গণজাগরণকে সমর্থন জানিয়ে একটি বিল আনা হয়েছে। দেশের সকল বুদ্ধিজীবীরাসহ জাতীয় দলের বীর ক্রিকেটাররা পর্যন্ত এই আন্দোলনে এসে সবার সাথে একাত্মতা জানিয়েছে।
আর ঠিক তখন, বাংলাদেশের দুই দুই বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী(!) বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর দলের মহান(!) নেতা-কর্মীরা এই আন্দলনকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়, এটাকে সরকারদলীয় ষড়যন্ত্র বলে..,এমন কি এই আন্দোলনকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে পর্যন্ত আপত্তিকর কথা বলে।
তাদের কোন নেতা-কর্মী এই গণমঞ্চে এসে একাত্মতা জানায় না, অবশ্য এতা করলে এই মঞ্চ, এই আন্দোলন কলঙ্কিত হত।
গত ১১ তারিখ সন্ধ্যায় ‘বাংলা ভিশন’-এ ‘ফ্রন্ট লাইন’ নামে একটা টক শো দেখছিলাম, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান এবং শিক্ষক ও গবেষক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
অনুষ্ঠানটা থেকে বুঝলাম কোন ধরনের কূটবুদ্ধিসম্পন্ন উপদেষ্টারা আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ওয়াশিংটন টাইমস-এ দেশের সাথে সমস্ত লেন-দেন বন্ধ করতে বলে,দেশের মানুষকে ভিসা না দিতে অনুরোধ করে, দেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করতে বলে এবং দেশে এসে দেশের চলমান অবস্থা থেকে আমাদের বাঁচাতে বলে আমেরিকাকে নিবন্ধ লিখে দেয় বা লিখতে উপদেশ দেয়। কারা তাকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে উপদেশ দেয়।
যাই হোক,তার কথা শুনে আমার কাছে তার জন্ম পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে।
সুতরাং সব কথা কানে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি নাই। সে বলে বঙ্গবন্ধু নাকি সকল যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দিয়েছিল, সংবিধানকে নিয়ে সে বিতর্ক করে এই আন্দোলনকেও সে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তবে কার কথার মাঝে কয়েকটি জিনিস কানে লাগলো...
তা হল.,সে বলে কিনা যে ‘জয় বাংলা’-এটা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠিত শ্লোগান এবং ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ(যেটা পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে গড়া)’-সেতা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠিত শ্লোগান। তাই, শাহবাগের আন্দোলনকারীদের এই শ্লোগানটা বলা উচিত নাহ। বড় করুণা হল এই অমানুষের কথাটা শুনে।
জীবনে তো সৌভাগ্য হয় নাই মুক্তিযুদ্ধের সাথে থাকার। তাইলে তরা বুঝবি ক্যামনে যে, এই শ্লোগানটা বাঙ্গালি কথা থেকে দেয়...!!! কত উদ্দীপনা আর প্রেরনা মিশে আছে এই শ্লোগানের মাঝে,সেটা বুঝতে হলে তোদের আরও পঞ্চাশবার জন্ম নিতে হবে,কিন্তু মানুষ হয়ে...। ।
আর সে বলে কিনা, শাহবাগে যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে, তারা তাদের শিখকদের দ্বারা মোটিভেটেড হয়ে যাচ্ছে, কারণ তারা ছোট, তারা কিছু বুঝে না এই আন্দলনের ব্যাপারে। আমি ওরে এটাই বলতে চাই, যেটা অন এয়ারে আরাফাত ভাই বলতে পারেন নাই... যে, ঐ বাচ্চারা যা বুঝে, তার তিল পরিমাণও তোদের মত অমানুষের দ্বারা বোঝা সম্ভব নাহ।
ওদের কণ্ঠ শুনলেই বোঝা যায়, ওদের মুখে শ্লোগান শুনলেই বোঝা যায় যে, ওরা কিছু বোঝে,নাকি বোঝেনা। এখন, ঐ নেতারা কি বলবে যে, ওদের শিক্ষকেরা তাদেরকে ঐভাবে চিৎকার করা আর মুখের অ্যাটিচুড কেমন করতে হবে, সেটাও শিখিয়ে দিয়েছে...!!! তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ঐ বাণী যে,
“সুস্থ-সুন্দর ভবিষ্যৎ চাই..,
যেখানে কোন রাজাকার নেই...”-এই কথা ভুল...!!!
খালেদার উপদেষ্টা আরও বললেন যে, এই আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে আরও পদ্মা সেতু ও হলমার্ক দুর্নীতির বিচারের দাবিতেও আন্দোলন করআ উচিৎ। স্পষ্টত, এই আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দেওয়ার একটা জঘন্ন প্রচেষ্টা এটা। উপস্থিত অপর বক্তা মোহাম্মদ এ আরাফাত তার সব কথারই উপযুক্ত উত্তর দিচ্ছিলেন। কিন্তু এটার একটা চরম উত্তর দিলেন।
তিনি বললেন যে, “আপনার ভূগোল পরীক্ষার আগের রাতে ইতিহাস পড়াটা কি ঠিক হবে...??” আজমের মুখটা পুরো চুপসে গেল।
যাই হোক, এদের কূটবুদ্ধির প্রতি আস্থা রেখেই বোধ হয় রায় ঘোষণার পর বাইরে এসে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় কসাই কাদের বিজয়সূচক ‘V’ সাইন দেখাচ্ছিল...!!!
আর এই উপদেষ্টারাই বোধ হয় তাদের ম্যাডামকে শিক্ষা দেয় যে, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বা মতিয়া চৌধুরীর নাম ধরে ডাকতে হয় এবং নিজামী রাজাকারের নামের সাথে সবসময় ‘সাহেব’ যোগ করতে হয়... বুঝি না যে, হাসব নাকি কাঁদবো...!!!
যে তরুন প্রজন্ম ভবিষ্যতে দেশের অস্তিত্ব রক্ষার শপথ ও দায়িত্ব গ্রহণ করবে, সেই তরুন প্রজন্মের দাবিকে যারা অস্বীকার করে এবং সেটাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করে, তাদের দেশে থাকাই উচিৎ না, বরং লাখো শহীদের রক্তে ভেজা এই ভূমি ছেড়ে তাদের সেই মরু-প্রস্তরের দেশে নির্বাসিত হওয়া উচিৎ, যার আদলে তারা এই দেশকে গড়ার অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে এবং চালাচ্ছে। তারা দেশের জন্মের ইতিহাস বিকৃত করতে চায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্ধ করে দিয়ে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত দাবিকে চাপিয়ে রাখতে চায়, যা একটি জাতির অদূর ধ্বংসের পথকে বাধাহীন করতে যথেষ্ট।
যাই হোক, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী ও জঘন্য রাজাকারদের দল ‘জামায়াত-শিবির’.,যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসাবে কাজ করেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে, তাদেরকে নিষিদ্ধ করাও এখন শাহবাগের গণজাগরণের এক অন্যতম প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে। সবার কণ্ঠ আজ গগণবিদারী চিৎকারে চারদিক প্রকম্পিত করে যে,
“জামায়াত-এ-ইসলাম..,
মেড ইন পাকিস্তান...”
লাখ-লাখ ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে জ্বল-জ্বল করে..,
“Hang War Criminals & Ban Jamayat-Shibir…”
টক শো-তে গতকাল(১৩ ফেব্রুয়ারী) সরকারদলীয় এক এম.পি.-কেও বলতে শুনলাম যে, এই গণজোয়ারের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অনেক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, এতে নাকি মানুষের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।
এই কথাটাও নাকি আন্দোলনকারীদের ভাবতে হবে...!!
তাদের প্রতি বলতে চায় যে, প্রায় দশ বছর তোমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে গাড়ি, বাড়ি, আবাসিক কোয়ার্টার, বেতন-ভাতা অনেক পাইছো। কাজ তোমাদের একটাই দেওয়া হইছে... সেটা হচ্ছে জনগণের মঙ্গল করা। কয়টা কাজ করতে পারছো এই যানজট নিরসনের জন্য...??? নিজেরা একটা করে গাড়ি কম ব্যাবহার করলেও তো রাস্তা অনেকাংশেই ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক জায়গায় অনেক বলছো তোমরা... এখন থাক, ঐ মুখে আর যানজটের কথা বইলো না... তোমাদের কর্ম-তৎপরতা সম্পর্কে জনগণ ভালই জানে।
যাই হোক., জনগণের এই দাবিকে চাপিয়ে রাখে এমন কোন শক্তি কখন ছিল না, আর এখনও নেই।
এটা ধ্রুবতারার মত সত্যি...। ।
তবে সবসময়ই খুব করুণা হয় পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে জিয়ার তৈরি করা দলটির প্রতি। তারা ’৭১-এ বা তার আগে যেমন অংশগ্রহণ করতে পারেনি কোন জাতীয় আন্দোলনে। , উচ্চারণ করতে পারেনি কোন দীপ্ত শ্লোগান, তেমনি এরকম একটা সুযোগও শয়তানি করতে গিয়ে হাতছাড়া করল এই নির্বোধ শয়তানেরা...!!!
পরিশেষে এটাই বলব যে.,
“আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি...”
এই মধুর সুর যতদিন আমাদের কণ্ঠে লেগে থাকবে, মনে-প্রাণে মিশে থাকবে, ততদিন আমরা ভুলে যাব না আমাদের আন্দোলনের কথা, আমাদের মুক্তি সংগ্রামের কথা...।
।
কারণ লাখো বীর বাঙ্গালির রক্ত বইছে আমাদের প্রতিটি শিরায়.., প্রতিটি ধমনীতে।
‘যতক্ষণ এক বিন্দু রক্তও দেহে থাকবে, সমস্ত অবাঞ্ছিত আবর্জনা দূর করে তোমার পবিত্র মাটিকে কলুষমুক্ত রাখার দৃঢ় চেষ্টা করে যাব’..,দেশমাতৃকার কাছে এ আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার....। ।
©AA B Joy ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।