আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রম্য রচনা।

সব কথা বলা যাবে, সত্যটা বলা যাবে না।
রম্যরচনা আসুন কানেকশন খুঁজি আহমেদ মামুন একটা জোকস দিয়ে লেখাটা শুরু করি। এক কাজি ছিলেন। তাঁর কাছে কোনো অভিযোগ এলে তিনি একটাই প্রশ্ন করতেন-মেয়েটি কে? একবার এক ফাদার মুখ খোলা ম্যানহোলে পড়ে পা ভেঙে ফেললেন। ফাদার গেলেন কাজির কাছে অভিযোগ নিয়ে।

কাজি সব শুনে জিজ্ঞাসা করলেন-মেয়েটি কে? কাজির পাশের সবাই তাকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন, ইনি একজন সম্মানিত ফাদার। তাকে এই ধরনের প্রশ্ন করে বিব্রত না করতে। কাজি নাছোড় বান্ধা। তার একই প্রশ্ন-মেয়েটি কে? ফাদার শেষে নিরুপায় হয়ে সত্য কথাটি বললেন-রাস্তার ডান পাশের তিন তলার মেয়ে! মেয়েটি বারান্দায় বসে চুল শুকাচ্ছিল। ফাদার রাস্তা দিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাঁটছেন।

তারপর পা ম্যানহোলে। শেষে কাজি ফাদারকে বললেন-রাস্তায় হাঁটার সময় রাস্তার দিকেই তাকাবেন! এই গল্পটি বর্তমানে হলে কেমন হতো। তা দেখি। এক দেশে এক কাজি আছেন। তার কাছে কোনো অভিযোগ আসলে প্রথমেই বলেন-নিশ্চই এই ঘটনার পেছনে ইন্ডিয়া আমেরিকার কানেকশন আছে।

এক দিন এক মহিলা কেঁদে বুক ভাসাতে ভাসাতে আসলেন কাজির কাছে। তার স্বামী তাকে গত রাতে পিটিয়েছে। কাজি সাহেব নির্দেশ দিলেন ঐ মহিলার স্বামীকে ধরে আনার জন্য। ধরেও আনা হলো। এবার কাজি বলল-বল আমেরিকা ইন্ডিয়া কিভাবে তোমাদের মধ্যে ঝগড়াটা বাধালো।

কাজির পাশের সবাই হতভম্ব। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মাঝে ইন্ডিয়া আমেরিকা আসবে কী ভাবে! স্বামী মুখ খুলল, তার স্ত্রী দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা টিভিতে ইন্ডিয়ান কাঁদতে কাঁদতে যায় বেলা টাইপের সিরিয়াল গুলো দেখে। আর কেঁদে হাটু ভাসায়। স্বামীর পছন্দ আমেরিকান চ্যানেল এএক্সএন-এর এ্যাকশান মুভি। সে বাসায় এসে স্ত্রীর কারণে এএক্সএন- এর এ্যাকশান মুভি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গতরাতে তিনি রাগ সামলাতে না পেরে এএক্সএন-এর এ্যাকশান তার স্ত্রীরির উপর চালিয়েছেন। কাজি সব শুনে মুচকি হেসে বলল-এবার বুঝলা সব কাহিনির পেছনে আছে ইন্ডিয়া আমেরিকার কানেকশন! আমাদের কাস মেট ছিলো মুনিরা। তখন কাস টেনে পড়ি। মুনিরা ছিলো লম্বা ফর্সা। দেখতে আমাদের থেকে বড় মনে হতো।

আমরা সন্ধ্যায় কবীর স্যারের বাসায় গিয়ে ইংরেজি পড়তাম। স্যার আমাদের স্কুলেরই ইংরেজী টিচার। ব্যাচেলর, দু’রুম ভাড়া নিয়ে স্কুলের পাশেই থাকেন। একদিন স্যার মুনিরাকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে গোপনে বললে, ঐ কথা(মুনিরা ছাড়া আমার চলবেনা এই টাইপ)! মুনিরা বাড়িতে গিয়ে তার মাকে সব জানালো। এরপর শুরু হলো রি-এ্যাকশন! আমাদের পড়া শেষ হলে মুনিরা পড়তে আসে।

তার হাতে থাকে টিফিন বাটি। তাতে থাকে কবীর স্যরের জন্য একেক দিন একেক আইটেমের খাবার। কথাটা কানাকানি থেকে জানাজানিতে এসে থেমে গেলো। কারণ মুনিরার বাবা এলাকার একজন বর্ষীয়ান নেতা। তার ছেলে মেয়েরা একটু আদটু প্রেম করতেই পারে।

কিছুদিন পর কবীর-মুনিরার প্রেম কাহিনি নতুন করে বিস্ফোরিত হলো। মুনিরা কবীর দু’জন ভেগেছে! মুনিরার বাবা রেড এলার্ড জাড়ি করলেন। দেশের যেখানে পাওয়া যায় ওদের ধরে আনো! আমাদের এলাকায় আরেক জন কবীর আছে। নাম সিডি কবীর। গলির মাথায় ওর সিডি-ভিসিডি দোকান আছে।

সাথে জামা কাপড়ও ইস্ত্রি করে সিডি কবীর। মুনিরা উপরে উপরে কবীর স্যারের সাথে প্রেম করলেও গোপনে আসল প্রেম করতো সিডি কবীররের সাথে। কবীর স্যারের সাথে প্রেম করেছে মা বাবার চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য। এবং মুনিরা পেরেছিল। শেষ পর্যন্ত সিডি কবীরের সাথেই পালিয়েছিল! আমরা কবীর স্যারের বাসায় গেলে শুনতাম তার টেপরেকডারে বাজছে-ও দরদি আরেক বার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া.... যেহেতু জোকস দিয়ে লেখাটা শুরু করেছি জোকস দিয়েই শেষ করি।

কারণ ঈশ্বর চক্র পছন্দ করেন। তাই প্রকৃতিতে এতো এতো চক্র। এক ফাদার গীর্জার সামনে বসে আছেন। এক তরুণী আসলো তার কাছে। বলল-ফাদার আমার বিয়ের পূর্বে একজন প্রেমিক ছিলো।

ঈশ্বর কি আমাকে মা করবেন। ফাদার-বাছা তুমি তোমার পাপের কথা স্বীকার করেছো। এখন তুমি গীর্জার সামনের পুকুর থেকে এক গ্লাস পবিত্র পানি পান করো। তুমি পবিত্র হয়ে যাবে। তরণী তাই করলো।

পরের দিন এক তরুণ আসলো সেই ফাদার কাছে। সে বলল-ফাদার আমার বিয়ের পূর্বে দু’জন প্রেমিকা ছিলো। ঈশ্বর কি আমাকে মা করবেন। ফাদার-বাছা তুমি তোমার পাপের কথা স্বীকার করেছো। এখন তুমি গীর্জার সামনের পুকুর থেকে দুই গ্লাস পবিত্র পানি পান করো।

তুমি পবিত্র হয়ে যাবে। তরুণ তাই করলো। অনেক দিন পর একলোক আসলো ফাদারের কাছে। সে বলল-ফাদার আমি এমন পাপ করছি র্গীজার পুকুরের পবিত্র পানিতেও আমি পবিত্র হব না। ফাদার-বাছা শান্ত হও।

ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখো। তুমি পাপ স্বীকার করে ঐ পবিত্র পানি পান করো। ঈশ্বরের কৃপায় তুমি পবিত্র হবে। লোকটি-আমি যদি আমার পাপ স্বীকার করি তাহলে গীর্জার পুকুরের পানি আর পবিত্র থাকবে না। আমিও ঐ পানি পান করতে পারবো না।

ফাদার-কি বলছো বাছা! লোকটি-ফাদার আমি গীর্জার পবিত্র পানির পুকুরের মধ্যে প্রতিদিন দু’বার হিসু করতাম।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.