ওয়াঁ...ওয়াঁয়াঁ...ওয়াঁয়াঁয়াঁ...!!!
ধর্মীয়, বৈষয়িক এবং সামাজিকতার প্রেক্ষিতে সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত উপলব্ধি, কারো সাথে মিল বা অমিলে কিছু আসে যায় না।
প্রসংগঃ আস্তিকের ধর্মকথা-১
হুবাল মূলত ছিল মেসোপটেমিয়ার দেবতা। আরামিক ভাষায় হুবাল শব্দের অর্থ আত্মা বা নিরাকার। ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়, ইসলামের রাসূল মুহাম্মদের জন্মের কয়েকশত বছর পূর্বে আমর-ইব্ন-লুহাঈ মেসোপটেমিয়া থেকে হুবাল’এর প্রতিকৃতি মক্কায় নিয়ে আসে এবং কাবার ছাদে স্থাপন করে। মেসোপটেমিয়ায় হুবাল’কে উর্বরতার দেবতা মনে করে উপাসনা করা হতো।
সিরিয়া ভ্রমনশেষে লুহাঈ নতুন কিছু ধর্মীয় নিয়মের সাথে আল-উয্যা এবং মানাত’এর প্রতিকৃতি নিয়ে এসে হুবাল’এর সাথে সংযোজন করে।
ইসলাম পূর্ব যুগের প্রায় সব দেব-দেবীদেরকেই আল্লাহ বা ইলাহ নামে ডাকা হতো। দি গড’এর মতই এটি ছিল কমন নাম। তবে ক্ষমতার দিক দিয়ে যেহেতু হুবাল ছিল শ্রেষ্ঠ, সেহেতু সময়ের সাথে সাথে হুবাল’ই আল্লহ হিসেবে বেশী পরিচিত এবং উপাস্য হতে থাকে। হুবাল শব্দটি হু-বাল এবং বা-আল শব্দ থেকে এসেছে।
অনেকেই মনে করে হুবাল’ই ইসলাম পূর্ব আরবদের আল্লাহ। কারন সেই সময়ের আল্লাহ’র প্রতীকও ছিল হুবাল’এর মতো সরু নতুন চাঁদ।
আগের পর্বে লিখেছি, আল্লাহ শব্দটি এসেছে ইলাহ শব্দ থেকে। ইলাহ অর্থ খোদা, কিন্তু একক অর্থে নয়। হুবাল যখন সবচেয়ে বেশী ক্ষমতা নিয়ে দেব প্রধান হিসেবে এককভাবে উপাস্য হতে থাকল, তখন তাকে একক ভাবে বুঝাতে একক অর্থ করতে হয়েছে আল-ইলাহ।
সেই থেকেই আল-লাহ বা আল্লাহ। এই কারনে হুবাল এককভাবে আল্লাহ বলে তাদের মাঝে স্বীকৃতি পায়।
বর্তমানেও মূল “আল্লাহ্” শব্দটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়।
বাংলাঃ আল্লাহু।
থাইঃ আন্লাও।
চীনাঃ আলা, আন্লা।
গ্রীকঃ আল্লাচ্।
জাপানিজঃ আরা, আর্রা, আর্রাফু।
মাল্টিজ, কোরিয়ানঃ আল্লা।
রাশিয়ান, ইউক্রেনিয়ান, বুল্গেরিয়ানঃ আল্লাখ্।
সাইবেরিয়ান, বেলারাশিয়ান, ম্যাসিডনিয়ানঃ আলাখ্।
(বিঃদ্রঃ এখানে শুধু ভাষাভেদে আল্লাহ শব্দের উচ্চারনের তফাৎ দেখানো হয়েছে, ইসলাম ধর্মে উপাস্য আল্লাহ’এর অবমাননা নয়। )
ইসলামের রাসূল মুহাম্মদ, ৬৩০ সালে মদীনা থেকে ফিরে মক্কা বিজয়ের পর কাবার সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলে এবং একেশ্বরবাদের প্রচারের ধারাবাহিকতায় আল্লাহ’কে নতুন রূপে উপস্থাপন করে। এর আগ পর্যন্ত চন্দ্রদেবতা তথা হুবাল তথা আল্লাহ ছিল কোরাঈশ এবং অন্যান্য আরবদের প্রধান উপাস্য।
চলবে…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।