কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ মরিবার হল তার সাধ । "বড় কোনো আলোকমঞ্চ নয়, নয় ঢাকঢোল পেটানো আয়োজন। গ্রামের বুকে এক দল মানুষের এ যেন সুখপাখি খোঁজা। তাঁরা এসেছেন গাইতে, তাঁরা এসেছেন নাচতে। প্রাণভরা তাঁদের সুরের দোলা, রক্তে থইথই নাচ।
হারানো নাচ, হারানো কথা ও সুরকে প্রাণ দিতেই তাঁদের যত হইচই। এখানে না আছে বৈষয়িকতার অঙ্ক কষা, না আছে বিত্তবৈভবের ঝলক। তাঁদের মন ভর্তি অন্য এক মরমী কাতরতা, যেখানে সবকিছুকে তুচ্ছ করে বেজে ওঠে শ্যাম কালিয়ার আনন্দ বাঁশি।
‘সখি আমার নামটি প্রেয়সী/ নাম ধরিয়া বাজায় বন্ধে বাঁশরি’ কিংবা ‘আমার বন্ধু দয়াময় তোমারে দেখিবার মনে লয়/তোমারে না দেখলে রাধার জীবন কেমনে রয়। ’... গানগুলো রাধারমণের।
কিন্তু এগুলো সাধারণ মানুষের প্রাণের ভেতর দোলা দেওয়া লোক-আত্মার গান। এ রকম শাহ আবদুল করিমের ‘আমি কুলহারা কলঙ্কিনী/আমারে কেউ ছুঁইও নাগো সজনী’ বা ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে/পিরিতি শিখাইছে’ অথবা প্রভাতরঞ্জন তালুকদারের ‘একবার বাজাও বাজাওরে বন্ধু বাজাও বাঁশিখান/তোমারও বাঁশির সুরে উইড়া যায় পরান। ’... এ রকম গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত গান। এ গানগুলো শুধুই কি গান! হ্যাঁ, গান তো বটেই। কিন্তু তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নৃত্য, যাকে সবাই ‘ধামাইল নৃত্য’ নামে চেনে।
বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির বিশাল আত্মার এই সম্পদ ধামাইল নৃত্য ও গান মরমী সাধক কবি রাধারমণ দত্তের হাতেই সৃষ্টি হয়েছে, বিকাশও হয়েছে তাঁর হাতেই।
একটা সময় ছিল, কি হিন্দু, কি মুসলিম—বিয়ের অনুষ্ঠান ধামাইল নৃত্য ছাড়া ভাবা যেত না। বিয়ের আগের রাতে নানা বয়সের নারীরা দল বেঁধে এই ধামাইল নৃত্য পরিবেশন করতেন। কিছু নারী ছিলেন, যেকোনো বিয়ের আসরে তাঁদের ডাক পড়ত। এই ধামাইল নৃত্য না হলে যেন বিয়ের আনন্দ পূর্ণ হতো না।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবখানে ধামাইল নৃত্যের ছিল সমান কদর। এই নৃত্যগীত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীকণ্ঠে গাওয়া হয় বলে একে অনেকে নারীসংগীতও বলে থাকেন। এই নৃত্যগীতের মাধ্যমে ফুটে ওঠে নারীমনের সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা ও সামাজিক বাস্তবতার ছবি। সাংস্কৃতিক কর্মী অজয় দেবরায় বলেন, ‘ধামাইল নৃত্য শুধু যে নারীরাই পরিবেশন করতেন, এমন নয়। পুরুষেরাও বিভিন্ন উৎসবে দল বেঁধে ধামাইল নৃত্য পরিবেশন করতেন।
ধামাইল নৃত্য করা ছিল আনন্দ ও শখের বিষয়। এখন হিন্দুদের বিয়েতে অধিবাসের দিন ভাড়াটে নারী এনে ধামাইল নৃত্য পরিবেশন করা হয়ে থাকে। ’
শুধু কি বিয়ের আসর, পূজা-পার্বণ, কিংবা অন্নপ্রাশনের মতো সামাজিক ও পারিবারিক উৎসব ধামাইল নৃত্য ছাড়া জমতো না। কিন্তু সময় এখানেও ছোবল দিয়েছে। লোকজ প্রাণশক্তির এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
বিয়ের আসরে এখন সেই জলভেজা, প্রাণের মমতাশ্রয়ী কথা বা সুরের নৃত্যগীত প্রায় শোনা বা দেখা যায় না। "....প্রথম আলো
http://www.sylheti.com এ কয়েকটা ধামাইল গান দেখলাম। আমি হুবুহু তুলে দিলাম । আপনার ভাল লাগতে পারে ভেবে
"Bandhu choiyo na amare,
kou chain re Shyam moner kotha bhalobasho kare?
Kar barit gechilay Shyam re khailay mitha paan?
Aar kar ghorer romini dekhlay Sri Radhar soman?"
Jei khane ubaichoin bondhu deo re chita chiti,
Aar jei khane daraichoin bandhu kaita palao mati!"
Kimba,
"Tumra sobe dhoira neo amare go, o go prano sokhi.
Ego cholite charan chole na, ami obosh hoilam naki!"
Othoba
"boro loijja pailam o sajoni joler ghate giya.
O taar rup dekhiya poiron boson porilo khoshiya!"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।