১৬ ফেব্রয়ারি ইনকিলাব পরে ধারাবাহিকভাবে আমারদেশ, সংগ্রাম, নয়াদিগন্ত শাহবাগ আন্দোলনের ব্লগার কর্মীরা সবাই নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী বলে প্রচার চালাচ্ছেন। নানান রকম তথ্যদিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করছেন কিভাবে তারা নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী।
আমারদেশের শিরোনাম ছিল ভয়ংকর ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারচক্র। এটি শিরোনাম হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১৯জন ব্লগারকে ওই আন্দোলনের কর্মী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
তাদের একজন রজীব হায়দার খুন হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে। রাজীব খুন হওয়ার পর বিভিন্ন মিডিয়া ও ব্লগে, ফেসবুকে একটি চক্র রাজীবকে ধর্মদ্রোহী, নাস্তিক বানানোর অপচেষ্টাকারীরা নকল ইডর মাধ্যমে তার ব্যবহৃত থাবা বাবা নামে ভূয়া আইডি দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টির কাজ চলছে।
যেহেতু শাহবাগ আন্দোলনের ব্লগার চক্র সকলেই নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী তাদের মাত্র একজন খুন হয়েছে আরেকজন শান্ত মারা গেছে। শান্তর আইডিতে কতটি ব্লগ পোস্ট আছে যেগুলির মধ্যে ধর্মদ্রোহের কথা বলা আছে? এটি প্রমাণ করে দিলে জাতি উপকৃত হবে বলে আশা করছি।
এছাড়া রাজীব ছাড়া আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী ১৮জন ব্লগার এখনো জীবিত আছে।
যাদের গ্যানম্যান দেওয়া নিয়েও নানান আপত্তি রয়েছে তাদের ব্লগ, ফেসবুক ও অন্যান্য যেসব মাধ্যমে যোগাযোগ আছে তাতে কোন ধর্মদ্রোহী ও নাস্তিকতাকে প্রাধান্য দেওয়া বক্তব্য আছে কি না এটি ওই আমারদেশ, সংগ্রাম, নয়াদিগন্ত, ইনকিলাব প্রমাণ করে দিলে কেমন হয়।
আসলে এইসব ধর্ম ব্যবসায়ী ভন্ড মিডিয়াগুলি আসলেই ধর্মের নাম করে মানুষকে বোকা বানায়। আর যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে প্রমাণের চেষ্টা করলে ভাল হয়।
দৈনিক কালের কণ্ঠ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে প্রথম পাতায় নুরানী চাপা সাইটে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তথ্য প্রমাণ দিয়ে যে রাজীব খুন হওয়ার আগে একবারও তার সাইটে (ভন্ডরা তার সাইট বলে প্রচার চালাচ্ছেন) কেউ প্রবেশ করেনি। তবে কি রাজীব খুন হওয়ার পর যে পোস্ট ওখানে আসা শুরু করল তা জামাত শিবিরের সৃষ্ট? রাজীব খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন ব্লগার নাস্তিক ছিল না।
এটি কি বিচার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা? আন্দোলন থেকে পিছনে পড়ে বিএনপি যে আগুনে জ্বলছে তার প্রতিশোধ েওয়ার অপকৌশল?
আরও অনেক কথা হবে অপেক্ষা ........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।