মাস চারেক আগে কৌতুহল বশতঃ টেকটিউনে ঢুকে পড়লেও কখনো কিছু লেখা হয়ে উঠে নি। মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়িয়েছি। নতুন কিছু শেখাও হয়েছে এখান থেকে। কিন্তু কারও উদ্দেশ্যে কিছু বলা হয় নি। আজ যখন কিছু বলতে ইচ্ছে করল, তখন দেখি ইউজার নাম, পাসওয়ার্ড কিছুই মনে নাই।
সেটা রিসেট করা হল। এখন ভাবছি কি নিয়ে লিখব। ভেবে দেখলাম খুব জোর দিয়ে বলার মত কোন পরিচয় তো আমার নাই। এখানে অনেক দক্ষ টিউনার আছেন। যাদের অভিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আমি মোটেও টেকি (techie) মানুষ নই। তখন হুট করে মনে হল আমি যা ভালবাসি তাই নিয়ে কথা বলা যেতে পারি। যেহেতু বিষয়টা ভালবাসি, তাই এতে আন্তরিকতার কোন ভণিতা থাকবে না। তাছাড়া এই বিষয় নিয়ে আমি অনেককে মহা আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে দেখেছি। মনে হয়েছে এই বিষয়ে আগ্রহটা বেশ সংক্রামক।
তারপর একটু খুঁজে দেখলাম এই বিষয়ে আর কেউ কথা বলছে কি না। বিষয় ভিত্তিক তালিকায় ব্যাপারটা অনুপস্থিত। অথচ বিষয়টি সার্বজনীন এবং অনেক বিষয়ের সাথেই ওতপ্রোত ভাবে সম্পৃক্ত।
আমি ছবি আঁকার কথা বলছি।
আমরা ছোট বেলায় সবাই ছবি আকঁতাম।
এমন কেউ নেই যে একটা সময় এই রহস্যময় জগতে হারিয়ে যায় নি। ছবি আঁকার সাথে আমাদের রক্তের জটিলতম সম্পর্ক আছে। মানুষ যখন কথা বলতে শেখে নি। তখনও সে ছবি এঁকেছে। সেই জিন আমরা আরও হাজার শতাব্দী বহন করব।
শিশুকে হাতে একটি রং পেন্সিল ধরিয়ে দিয়ে দেখুন সে কত দ্রুত লক্ষ বছর ধরে তার স্মৃতি কোষের বহমান ঐতীহ্যে ডুবে যায়। ছবি আঁকার ব্যাপারটা এখনও অনেক রোমান্টিক এবং আধো অন্ধকারে অস্পষ্ট।
আমার ঠিক মনে পড়ে না। আমি কবে ছবি আঁকা ছেড়েছি। তবে মনে আছে কবে নতুন করে শুরু করেছি।
শুনলে আপনার হাসবেন। আমি নতুন করে ছবি আঁকা শুরু করেছি ২৫ বছর বয়সে। তারপর থেকে কখনো নিয়মিত কখনো অনিয়মিত এঁকে গেয়েছি। ঠিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যেটাকে বলে সেটা আমার নাই। তবে বহু ছেলে মেয়েকে শিখিয়েছি।
জীবনে অনেক বদভ্যাস ছুটে গেলেও এটা ছাড়তে পারি নি। ছবি আঁকতে যে আনন্দ পাই। সেটা অন্য অনেক কিছুতেই পাই না। আঁকি মনের খিদা মেটাতে।
ছবি আঁকার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে আজও আধিভৌতিক মনে হয়।
কারণ আঁকার সময় একটা কিছু ভর করে মাথায়। যতক্ষন নিমগ্ন থাকি, পার্থিব কোন অনুভূতি কাজ করে না। এটা নিয়ে আমার কিছু পড়াশোনা আছে। নিজে নিজেই করেছি। এখনও রহস্যটা খোলাসা হয় নি।
তবে এটা সমাধানের কোন ইচ্ছেও আমার নাই। কারণ রহস্য না থাকলে আগ্রহও থাকে না।
যদি আপনাদেরও আগ্রহ থাকে তবে এ বিষয় নিয়ে কয়েকটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে। ছবি আঁকার এই দুবোর্ধ্য প্রক্রিয়াটা নিয়ে আমি অন্ততঃ হাজার খানেক মানুষের সাথে কথা বলেছি। একটি মানুষও প্রথমে বিশ্বাস করেন নি যে তার পক্ষে তিনদিনে ছবি আঁকা শেখা সম্ভব।
কিন্তু যখন শিখিয়েছি, তখন হতভম্ব হয়ে গেছেন।
ডিজিটাল পাঠশালা নামের একটি প্রতিষ্ঠানে আমি অনিয়মিত ভাবে ছবি আঁকা শেখাই। এটা ঠিক আমার পেশা না। কিন্তু অন্ততঃ কয়েক শত ছেলে মেয়েকে আমি তিনদিনে ছবি আঁকা শিখিয়েছি। অন্ততঃ দু ডজন হাইজফুল কোর্স করিয়েছি।
যারা দু যুগেও ছবি আঁকতে শেখে নি। রহস্যের জট খুলে দিয়েছি। দেখেছি তাদের মুগ্ধ চোখ।
এই লিংকে কিছু শেয়ার করা আছে।
কেন পারবো না বলুন তো।
আমি তো নিজেই ছবি আঁকা শিখেছি তিন দিনে। আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন পৃথিবীখ্যাত ড্রয়িং এর শিক্ষক ডক্টর বেটি এডওয়ার্ডস।
তার সম্পর্কে জানুন এই লিংকে।
তার বিশেষ পদ্ধতিটি আমি আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করব। আজ এই পর্যন্তই।
ভাল থাকবেন সবাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।