টুইন টাওয়ারে রহস্যজনক সন্ত্রাসী হামলার পর ২০০১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দাবিদার দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অত্যাধুনিক অন্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো দুর্বল ও পশ্চাদপদ আফগারিস্তানের উপর। কথা ছিল গায়ের জোরে তালেবান নামক উগ্রবাদিদেরকে মুহূর্তের মধ্যেই নাস্তানাবুদ করে ফেলা হবে। কিন্তু বাস্তবতার নির্মম পরিহাস, দীর্ঘ আট বছর অতিক্রান্ত হলেও তালেবান নাস্তানাবুদ হয় নি বরং বাহ্যত মার্কিনীরাই নাস্তানাবুদ হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।
মার্কিনীরা গত তিন বছরে কয়েক বারই গোপনে তালেবানের সাথে সমঝোতায় পৌছার চেষ্টা করেছে। (সূত্র দেখুন) কিন্তু তালেবানই মার্কিনীদের সাথে আপোষ করতে আগ্রহী হয় নি।
শেষ পর্যন্ত অনেক বিরোধিতা সত্ত্বেও নোবেল বিজয়ী প্রেসিডেন্ট তালেবানকে শায়েস্তা করার জন্য আরো ত্রিশ হাজার সৈন্য আফগানিস্তানে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। কিন্তু আফগানিস্তানে লড়াইরত মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা মনে করেন ওবামার এই পদক্ষেপ ফলদায়ক হবে না। তালেবান অবশ্য বলেছে ওবামার এই সিদ্ধান্তের কারণে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র গামী কফিনবাহী বিমানের যাতয়াত আরো বৃদ্ধি পাবে। সব চেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে মার্কিনীরা গত আট বছরে বিন লাদেন বা মোল্লা উমরকে গ্রেফতার করতে পারে নি। কেন পারে নি ? তারা সাদ্দামকে গ্রেফতার করতে পারলো কিন্তু বিন লাদেন , মোল্লা উমর বা জাওয়াহেরী কে পারে না কেন?
আজকের খবর হচ্ছে ওবামা ত্রিশ হাজার সৈন্যের নতুন বাহিনী আফগানিস্তানে প্রেরণের হুঙ্কার ছাড়লেও তার প্রেতাত্মা কারজায়ী বলেছে আমরা মোল্লা উমরের সাথে আলোচনায় বসতে চাই ।
কেন ? বিশ্বের সেরা সন্ত্রাসীদের সাথে কেন আলোচন ? এত খুন ও রক্তের পর কেন এখন সমঝোতা ? খবরের সূত্র এখানে পাওয়া যাবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।