শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ রোধ করতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলেও আওয়ামী লীগ এদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে আসবে। ”
জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, “তারা (জামায়াত) সম্প্রতি নির্বাচন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতা চালিয়েছে। তবে তারা তালেবানের সঙ্গে যুক্ত না। ”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বামপন্থী এই নেতা ও লেখক বলেন, “জামায়াত মানুষ হত্যা করেছে দাবি করে তাদের জঙ্গি বললে, এখন দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকার যে হত্যা করছে সে কারণে তাদেরও জঙ্গি বলতে হবে।
“আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সখ্য করেছিল তা মনে রাখতে হবে।
”
তিনি বলেন, “সরকারের স্বেচ্চাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দেশের সংবিধান এখন অচল। ”
এই সংবিধানে আর ‘চলবে না’ মন্তব্য করে বদরুদ্দীন উমর বলেন, “দেশ পরিচালনায় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য নতুন সংবিধান লাগবে। ”
তিনি বলেন, “এদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হয় না। বিএনপি-জামায়াত এবং সরকার দলীয়রা একসঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায়। ”
হামলাকারীদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসবে বলে ‘সুষ্ঠু’ তদন্তও হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বামপন্থী মতাদর্শ যাতে প্রচার না হয় সেজন্য কিছু সংবাদপত্র তাদের সংবাদ প্রকাশ করে না বলেও মনে করেন তিনি।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, ভুলন ভৌমিক, আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সামিউল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।