আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরবানীর চামড়া না কোরবানীর পশুর চামড়া


একটি পোষ্টার: মাদ্রাসা .... ..... ও লিল্লাহ বোডিং-এ এতিম-গরীব ছাত্রদের দ্বীনী শিক্ষার জন্য কোরবানীর চামড়া দান করে দ্বিগুন সওয়াব হাসিল করুন। ঈদুল আযহা’র পূর্বে এই ধরণের পোষ্টার দেখা যায়, দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। পোষ্টারের শব্দ ব্যবহার ও বক্তব্য থেকে কিছু প্রশ্ন করা যেতে পারে: এতিম-গরীব ছাত্রদের শিক্ষা দেবার দায়িত্ব এই ধরনের মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং-কে নিতে বলেছে কে? এতিম-গরীর ছাত্ররা শুধু কেন, ছাত্রীরা নয় কেন? এতিম-গরীব মেয়ে কি নেই ? আর সরকার এতিম-গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপারে উদাসীন হলে সরকারের দায়িত্ব নয় কেন? সরকার একটা পর্যায় পর্যন্ত ফ্রী লেখাপড়া করাচ্ছে, বৃত্তির টাকা দিচ্ছে, খাওয়ার ব্যাবস্থা করতে চাচ্ছে, তবে এসব লিল্লাহ বোডিং-এর উৎপাত কেন? কোরবানীর পশুর চামড়া, জাকাত, ফেৎরা, বিভিন্ন ধরনের চাঁদা থেকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে, আবার দেশের বাইরে থেকে কিছু ব্যক্তি কিছু প্রতিষ্ঠানও বেশ অংকের টাকা পাঠিয়ে থাকে বলে জানা যায়। ঐ অর্থ সঠিক খাতে ব্যবহার হয় কি? এখানে জবাবদিহিতার ব্যাবস্থা নাই। বিভিন্ন সময় পরিচালক, শিক্ষকদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া যায়। কি নৈতিক শিক্ষার অজুহাত দেবে এরা? এদের দ্বীনী শিক্ষা শুধু কেন, বিজ্ঞান শিক্ষা নয় কেন? এইসব ছাত্রছাত্রীদের যদি সামাজিকভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করতে হয়, তা বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ নয় কি? যা বিশেষ কোন সা¤প্রদায়িক রাজনৈতিক সংগঠন এইসব কোমলমতিদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে। “কোরবানীর চামড়া’’ হয় কিভাবে? কোরবানীর পশুর চামড়া নয় কি? ‘দ্বিগুন সওয়াব’ বুঝতে হলে একগুন সওয়াবের পরিমাণ কতটুকু তা বুঝতে হবে না কি?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।