আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরবানীর বিধিবিধা্ন



এম.এম.শরফুদ্দিন কুরবানী কার নামে (বা উদ্দেশ্যে) করতে হবেঃ আমাদের সমাজে বল হয় কার ‌‌নামে কুরবানী করা হবে? কার নামে এই কথাটি বলা ঠিক নয়। বরং বলা উচিৎ কার পক্ষ থেকে কোরবানী করা হবে। কেননা আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে জবেহকৃত প্রাণি খাওয়া হামার। (সুরা-মায়িদাহ-৫:৩) যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে পশু যবেহ করে আল্লাহ তার উপর লা'নত করেন। (সহীহ মুসলিম) আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নামে যবেহ করা শিরক এবং সেই ব্যক্তি তওবা না করলে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে।

সূরা- মায়েদা-৫:৩, ৭২। কুরবানী কার পক্ষ থেকে করতে হবেঃ যে ব্যক্তির সামর্থ আছে, প্রথমে তার নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করতে হব। পরিবারের পক্ষ থেকে ১টি বকরী কুরবানী করাই যথেষ্ট হবে। এরপর যদি জীবিত বা মৃত যে কোন এক বা একাধিক ব্যক্তির জন্য ১টি বকরীও কুরবানী করতে চায়, এটাও বৈধ। আর কুরবানী মূলত জীবিত ব্যক্তিদের জন্য।

(- সহীহ বুখারী, ইবনে মাজা) কুরবানীদাতা যাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করছেন, যবহের আগে বা পরে তাদের নাম উল্লেখ করা জায়েজ। কিন্তু কেউ যদি উ্ল্লেখ না করেন, তাহলেও তার কুরবানী বিশুদ্ধ হবে। কেননা আল্লাহ লক্ষ্য করবেন তার অন্তরের তাকওয়া। যেমন-৭ জনরে পক্ষ থেকে যবেহ করলে, বলবে যে আমাদের ৭ জনের পক্ষ থেকে কুরবানী করলাম। শুধু এতটুকু বললেই যথেষ্ট।

প্রত্যেকের নাম ও পিতার না উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন নেই। সর্বোত্তম কুরবানীঃ ১টি পূর্ণাঙ্গ উট, অতপর ১টি পূর্ণাঙ্গ গরু, অতপর ১টি মেষ/বকরী, অতপর উট/গরুর ভাগে কুরবানী। যে পশুটি্ কুরবানী করা হবে, সে পশুটির উপর কুরবানী দাতার পূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে। ৪ প্রকার পশু কুরবানী অবৈধঃ ১. টেরা/কানা/অন্ধ, ২. রোগাক্রান্ত/ দুর্বল ৩.খোড়াঁ/ পঙ্গু/আহত/ অঙ্গহানী (কান কাটা/শিং ভাঙ্গা) ৪. বৃদ্ধ-বয়স্ক। সহীহ বুখারী, তিরমিজি।

কুরবানীর পশুর বয়স সীমাঃ দুধের দাঁত ভেঙ্গে নতুন দাঁত উঠা পশু ব্যতীত যবেহ না করা। (অর্থাৎ উটঃ- ৫বছর পূর্ণ বা তদূর্ধ্ব, গরুঃ ২/৩ বছর পূর্ণ বা তদূর্ধ্ব, ভেড়া/দুম্বা/ বকরীঃ ১ বছর পূর্ণ বা তদুর্ধ্ব। তবে এরুপ পাওয়া কষ্টকর হলে, ৬ মাস বয়সের ভেড়া যবেহ করা যাবে, তবে এ থেকে বিরত থাকার সর্বাত্তক চেষ্টা থাকতে হবে। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, নাসায়ী, তাফসির ইবনে কাসীর-৪৭৩ কুরবানীর মাংস বন্টনঃ ৩ ভাগ করা বৈধ, ১, এক ভাগ নিজেরা খাওয়া, ২. এক ভাগ গরীব-মিসকিনদের দান করা, ৩. এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের দান করা বা খাওয়ানো মুস্তাহাব। পরিমানের কথা কুরআনে ও হাদীসে কিছু বলা হয়নি।

সুরা হাজ্ব-২২:২৮, সহীহ বুখারী।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।