আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যাহ্ন গাঁথা।

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ........

মধ্যরাত্রির নির্মেঘ পূর্ণিমা আকাশ....... (আকাশ অথচ গগন কিংবা অন্তরীক্ষ?) শ্বাসরূদ্ধকর অন্ত:সারশূণ্যতা এবং প্রাত্যহিক অপচ্ছায়াসমুহের বিবিধ অনুসরণে অস্তিত্ব(এর প্রতিচ্ছায়া) ক্ষণে ক্ষণে মুখ থুবড়ে পড়ে জৈবনিক চৌকাঠে, কার্ণিশে.....। আর আমি আতংকিত হই, বিস্ফোরিত হই আর হেঁটে যাওয়া পথের অন্তরালে আমার প্রাচীন ক্লেদাক্ত দুই পা বেয়ে ওঠে নৈমিত্তিক শ্যাওলা আর ঘন সবুজে বুজে আসে গলা, মৃত্যুকাতরতায়। ধ্রুপদ নদীর ক্রমহ্রাসমান নাব্যতার বিপরীতে, স্রোতে, জলে সম্ভাব্য যে বালুকনার ঝলকানি কখনো কখনো যদি দুর্বিপাকের মতো ছিড়ে নিতে সক্ষম হয় নাগরিক কোলাহলের নাটাই, সুতো কিংবা অনর্থ রথ যাত্রা; তথাপি ধুসর গাঙচিল মধ্যাহ্ন আকাশে(কিংবা গগনে) উড়ে চলা বা ভেসে থাকার বিরামহীনতায় কি মিশে যেতে চায় লোকাল স্টপেজ? মলিন বাস? জীর্ন রিকশা? নাকি সহসা নড়ে ওঠে আকাশচুম্বিতার মোহ দালান? যান্ত্রিক যজ্ঞ বর্জনাকাংখী একক মুর্ছনায় আমি ভেসে যেতে থাকি অনির্দিষ্টতায়, যতদিন না মহাসড়কের গলে ওঠা কালো পিচ শীতল হয় আসন্ন শীতের উত্তুরে হাওয়ায়; যতক্ষন না সুস্মিতার কথিত সবুজ ওড়না উড়ে যায় প্রান্তরে; যে দুর্দান্ত বর্ষায় তেপান্তরের মাঠ ভিজে যায় অত্যাশ্চর্য বর্ষণে— আর আমি জল-মেঘের পাজরে শুনতে পাই আষন্ন বর্ষার শিউড়ে ওঠার সুতীব্রতা। অথচ, কালান্তরের মৃয়মানতায় ক্রমবিস্মৃত যে নৈবেদ্য পাখিকূল.... তাদের অভিশাপ ভুলে নিয়ত হননে মত্ত হই। অত:পর- পাপ-পুনর্জন্মের যৌথ অস্তিত্বে আর নিরবধি ভুল প্রক্ষেপনে আমার দ্বিধাহীন ব্যার্থ প্রতিবিম্ব পুড়ে ছাড়খাড় হোক জলজ রাখালের সান্ধ্য মশাল-অগ্নিতে, অগ্নিতে....... অত্যাশ্চর্য বর্ষণে—

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।