বাউন্ডুলে মনের আবর্জনা
হুমায়ূন আহমেদের 'মধ্যাহ্ন' উপন্যাসের প্রথম দু'খন্ড কিছুদিন আগে পড়লাম। আমি গতবছর দেশে থাকতেই বইটির প্রথম খন্ড বের হয়েছিলো। এবারের বইমেলায় দ্বিতীয় খন্ড বের হলো। আমি দুটো খন্ডই একসাথে এবার পড়লাম।
হুমায়ূন আহমেদ বইটির ভূমিকাতেই লিখেছেন যে উপন্যাসটি 'ইতিহাস কম, গল্প বেশি'।
বইটি বেশ উপভোগ্য ছিল। আমি অনেক বছর ধরেই বাংলা উপন্যাস পড়িনি। তাই বাংলা উপন্যাসের বর্তমান ধারা সমন্ধে আমার তেমন ধারণা নেই। কিন্তু আমার মনে হয়েছে শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদ এই উপন্যাসটি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের লেখকদের অনুকরণ করে লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদের সাবলীল লেখায় অবশ্য উপন্যাসটি উপভোগ্য হয়েছে।
তবে একটি জিনিষ আমার কাছে খুবই বিরক্ত লেগেছে। আজকাল প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের চরিত্রগুলোর আধিভৌতিক ক্ষমতা আছে। এই উপন্যাসের কিছু চরিত্রের ও এই ধরণের ক্ষমতা আছে। শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদ তার সব উপন্যাসেই যেন তার 'হিমু' এবং 'মিসির আলি' চরিত্র দুটি নিয়ে আসতে চাচ্ছেন। আমি জানি যে, হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তার মুল কারণ এই দুটি চরিত্র।
কিন্তূ প্রত্যেক উপন্যাসেই যদি এই ধরনের চরিত্র থাকে তাহলে তা উপন্যাসের স্বকীয়তার উপর প্রভাব ফেলে। আশাকরি, হুমায়ূন আহমেদের পরবর্তী উপন্যাসগুলো আরো উপভোগ্য হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।