একটা টিভি চ্যানেলে একটি অনুষ্টান দেখছিলাম। জাতীয় চার নেতা কথা
বলছিলেন। এরা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ও এম. মনসুর আলী।
ফুটেজগুলো ১৯৭১ সালে ধারন করা। তাঁরা বলছিলেন সম্ভাব্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি,মানবতাবাদ,পররাষ্ট্রনীতি,সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি ইত্যাদি বিষয়ে।
কী স্বপ্ন ছিল তাঁদের ! কী চেতনা ছিল তাঁদের !
অথচ সেই স্বপ্ন গুলোকে চুরমার করে দিয়ে তাঁদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কাপুরুষ হায়েনারা জানতো , এরা বেঁচে থাকলে সোনার বাংলা একদিন তার স্বনির্ভরতা ফিরে পাবেই।
খুনীরা তা জানতো বলেই শেষমুহুর্তে এসে এই জেলহত্যাকান্ডটি ঘটায়।
ভাবতে অবাক লাগে , এই খুনীদেরকেই বাঁচাতে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিচার ঠেকাতে ইনডেমনিটি বিল পাশ করা হয় ।
আজই কাগজে দেখলাম জেল হত্যাকান্ডের পুন:বিচার করবে সরকার।
এই চার নেতার ঋণ জাতি চিরদিন স্মরণ করবে শ্রদ্ধার সাথে ।
রিপোর্ট টি এখানে.....
দৈনিক ভোরের কাগজ / ৩ নভেম্বর ২০০৯
------------------------------------------------------
জেলহত্যা মামলার বিচার পুনরায় হবে : আইন প্রতিমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক : ''জেলহত্যা মামলা নিয়ে বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার প্রহসন করেছে। বিচারের নামে জাতির সঙ্গে এই ছেলে খেলার কারণে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন ও আমিসহ চার জন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কৌঁসুলি পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে দেশের জনগণ আশাহত হয়েছেন।
চার নেতার পরিবার এই রায় প্রত্যাখান করে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলার বিচারের পর অবশ্যই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পুনঃবিচার হবে। '' গতকাল বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম একথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা চলচ্চিত্রাভিনেতা ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলহত্যা দিবসে শহীদ জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে মোঃ নাসিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম লস্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক অরুন সরকার রানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আখতারুজ্জামান, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন উল্লেখ করে এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিচারের স্থান হিসেবে আব্দুল গনি রোডের বাড়িটি চেয়ে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার বা প্রশ্নবিদ্ধ বিচার চাই না। চাই আন্তর্জাতিক মানের বিচার।
সরকার বিচার বিভাগের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করছে না মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের সময় জাতীয় চার নেতা হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছিল।
ফলে প্রকৃত হত্যাকারীরা রেহাই পেয়ে গেছে এবং আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, শেখ সেলিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসির মামুনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাংবাদিককে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে রিমান্ডে নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অহেতুক নির্যাতনের জন্য নয়।
হত্যার রাজনীতি বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোঃ নাসিম বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
শেখ হাসিনাকে রক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তাবায়ন, দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নিমূর্লের জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চার নেতা মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।