লিভার ক্যান্সার দুই ধরনের।
১. প্রাইমারি লিভার ক্যান্সার :
যে ক্যান্সার লিভারের কোষ থেকে তৈরি হয় তাকে প্রাইমারি লিভার ক্যান্সার বলে।
২. সেকেন্ডারি লিভার ক্যান্সার : শরীরের অন্য কোনো জায়গা থেকে তৈরি হয়ে লিভারে
ছড়িয়ে পড়লে তাকে সেকেন্ডারি লিভার ক্যান্সার বলে।
চিকিৎসা : সার্জারি হচ্ছে লিভার ক্যান্সারের মূল চিকিৎসা। অপারেশন করে কেটে ফেলে দিলে রোগীর আয়ু বেশি বাড়ে।
তবে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীকে বিভিন্ন করণে সার্জারি করা যায় না। এসব রোগীকে কেমো বা রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু
অনেক রোগীকে অপারেশন করা যায় না। তাই সার্জারির কার্যকরী বিকল্প আবিষ্কার করার চেষ্টা চলছিল। ফলস্বরূপ Cryosu-drgery, Alcohol ablation, RFT আবিষ্কৃত হয়।
তারা রোগীদের ওপর ব্যাপক গবেষণা করে দেখেছেন, এদের মধ্যে RFT সবচেয়ে কার্যকরীভাবে লিভার ক্যান্সার টিউমারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এর
মাধ্যমে কেবল টিউমারটি ধ্বংস হয় কিন্তু টিউমারের আশপাশে সুস্থ লিভার টিস্যুর কোনো ক্ষতি হয় না। যারা সার্জারি করাতে
চান না বা যাদের কেমো-
থেরাপি সম্পূর্ণরূপে কোনো কাজ না করে তাদের জন্য RFT
একটি সফল চিকিৎসাপদ্ধতি। সম্প্রতি MD Anderson Cancer And National Institute of Health (USA)-এর গবেষণায় দেখা গেছে যাদের টিউমার ১০ সে. মি.'র চেয়ে বেশি তাদের সার্জারি করা সম্ভব না হলে সে ক্ষেত্রে RFT সবচেয়ে উপযুক্ত এবং একটি সফল চিকিৎসাপদ্ধতি।
ডা. আহমেদ সরোয়ার মুর্শেদ
অনকোলজিস্ট, লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৪৮৩৩৬১১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।