মধ্যযুগে আবু আলী ইবনে সিনা ওরফে আবিসেনা ছিলেন একজন নামকরা দার্শনিক ও চিকিৎসক। তিনি যখন গজনীর সুলতান মাহমুদ কর্তৃক তদীয় রাজদরবারকে অলংকৃত করার নির্দেশকে প্রত্যাহার করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, তখন একদা তিনি মধ্যপ্রাচ্যের গুরগান নামক স্থানে উপনীত হলেন, যেখানকার শাসনকর্তার নাম ছিল কাবুস। তো একদিন কাবুসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক হিসেবে রাজপ্রাসাদে তাঁর ডাক পড়ল। তিনি দেখলেন, রোগী হচ্ছে মনমরা এক যুবক, যার নাড়ি ও পেশাব পরীক্ষা করে কিছুই পাওয়া গেল না। অতঃপর তিনি বললেন, ‘আমি এমন একজন লোক চাই, যে এই ছোট্ট শহরের সব এলাকা, সব রাস্তা, সব বাড়ি ও সব বাড়ির বাসিন্দাদের চেনে।
’ তেমন একজন লোক জোগাড় করে আনা হলো।
ইবনে সিনা যুবকটির নাড়িতে হাত রাখলেন এবং আগন্তুক সরবে সব এলাকার নাম বলে যেতে লাগলেন। হঠাৎ একটি এলাকার নাম বলতেই যুবকের নাড়ি একটা ঝাঁকি দিল। ইবনে সিনার নির্দেশে আগন্তুক তখন এলাকার রাস্তাগুলোর নাম ক্রমান্বয়ে বলে যেতে থাকলে একটি রাস্তার নাম উচ্চারণেই নাড়ি পুনরায় ঝাঁকি খেল। ইবনে সিনা সেই রাস্তার সব বাড়ির নাম বলতে বললেন।
এবারও একই ঘটনা ঘটল, একটি বাড়ির নাম উচ্চারণেই নাড়ি পুনরায় ঝাঁকি দিল। তখন ইবনে সিনা বললেন, ‘এই বাড়ির সব বাসিন্দার নাম এক এক করে বলে যান। ’ এটা করা হলো এবং এবার একটি যুবতী মেয়ের নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে যুবকটির নাড়ি ভীষণভাবে ঝাঁকি খেল। ইবনে সিনা তখন বললেন, এই যুবকটির লাইন ওই যুবতীর সঙ্গে। ওরা দুজনে প্রেমে পড়েছে, কিন্তু অভিভাবকদের বিশেষত শাসনকর্তা কাবুসের ভয়ে সেটা প্রকাশ করতে পারছে না।
এদের দুজনের হাত এক করে দিলেই রোগী সেরে উঠবে। তদন্তে সেটা প্রমাণিত হলো এবং চিকিৎসকের স্বরূপও উন্মোচিত হলো।
সুধী পাঠক, ইবনে সিনার মতো এ স্থলে আকিঞ্চন আমিও একটা ব্যবস্থাপত্র দিতে চাই। সরকার বঙ্গবন্ধুর নামে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে যে পেরেশানিতে আছে, তার একমাত্র প্রতিষেধক হলো—সবাই মিলে আমরা ঢাকার বর্তমান বিমানবন্দরটির নাম পুনরায় পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর নামে করে দিই। আপনারা ব্যবস্থাপত্রটা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন আশা করি।
Source: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।