সামুদ্রিক বিভ্রম
তখন কাল নিরপেক্ষ ছিল সব কিছু। তিনি মহানিদ্রায় শায়িত। অর্থাৎ সময়। কিন্তু আমরা দশক গননা শুরু করেছিলাম। আমি তোমার দিকে, তুমি আমার দিকে- পরস্পর পরস্পরাভিমুখী দূরত্ব অতিক্রমন করছিলাম।
কিন্তু যেহেতু আমরা অতিক্রমন করছিলাম, যেহেতু আমরা একটি বিন্দুতে মিলিত হতে যাচ্ছিলাম, সুতরাং আমাদের পক্ষে সময় নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব ছিলনা। যেহেতু ঘটনা আছে, সুতরাং সময়ও আছে। এবঙ আমরা যেহেতু সময় সৃষ্টির মুহূর্তে পারস্পরিক চাহিদা বুঝতে শিখেছিলাম, সেহেতু আমরা উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম। ফলে আমাদের এই অততিক্রমন থেকে বিভিন্ন পুরানের উৎপত্তি হতে লাগলো। অর্থাৎ সময় সৃষ্টির কাজটা আমরাই অনেকটা এগিয়ে নিয়েছিলাম।
কিন্তু তিনি তখনো নিদ্রিত। যেহেতু শুরুতেই তিনি আছেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে একটি গাণিতিক অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিল। আর এই অনিশ্চয়তার সুযোগে তিনি বিকট চিৎকারে নিদ্রা ভাঙ্গার ঘোষনা দিলেন। তখন প্রাচ্য ঋষিগণ বেদ রাচনার কাজে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।