চলতি মৌসুমে ফুটবল কি মাঠে গড়াবে? এ প্রশ্নটা ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। এ নিয়ে তিনবার দলবদলের সময় বাড়ানো হয়েছে। বুধবার রাতে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে লিগ কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বেশ জোরালোভাবে বলেছেন, এরপর আর কোনো দাবি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এর পরও সন্দেহ রয়েছে তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারবেন কি না।
কথা হচ্ছে কেন এ সংশয়? আসলে এ ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই। দেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে বল মাঠে গড়ানোর পর তা পুরোদমে চালানো যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থায় ক্লাবগুলো কষ্ট করে ফান্ড সংগ্রহ করে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, আবাসিক ক্যাম্প চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। সে ক্ষেত্রে একবার খেলা শুরু করে তা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ক্লাবগুলোর ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
সত্যি বলতে কী, দেশে এখন যে পরিস্থিতি তাতে ঘরোয়া আসর চালানোটা মুশকিলই বলা যায়। সামনে আরও সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।
এটা ঠিক, শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো তাদের ঘর গোছানোর কাজ শেষ করেছে অনেক আগেই। কিন্তু দলবদলে এসে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। কারণ খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আইনত মৌসুমের পুরো পেমেন্ট শোধ করতে হবে।
যেখানে খেলার কোনো নিশ্চয়তা নেই সেখানে বসে বসে এত টাকা দেবে কেন? এ ছাড়া এই অবাসিক ক্যাম্প চালিয়ে লাভ কী? সত্যি বলতে কী, দু-তিনটি ক্লাব ছাড়া এখনো অন্যরা পুরোদমে আবাসিক ক্যাম্প শুরু করতে পারেনি। দেশের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেউ অযথা অর্থ নষ্ট করতে চায় না। এ মুহূর্তে ফুটবলে সবচেয়ে অর্থশালী দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তারাও কিন্তু অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। শেখ রাসেল, আবাহনী, মোহামেডানসহ সব ক্লাবের কথা হচ্ছে ফুটবল মৌসুমে বল মাঠে গড়াচ্ছে না বলে আমাদেরই খারাপ লাগছে।
কিন্তু কী করব, এমন অবস্থায় দলবদলে যাই কোন সাহসে। ১৫ নভেম্বর পেশাদার লিগের দল বদলের শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে এটাই শেষ সময় কি না। তবে গতকাল আবার বিজেএমসি দলবদলের কাজ সম্পন্ন করেছে। বাফুফের আশা অন্য দলগুলো নির্ধারিত সময়ের আগে দলবদল করবে।
না, বিগ বাজেটের দলগুলোর আরও ভাববার বিষয় রয়েছে। কেউ কেউ মৌখিকভাবে বাফুফের কাছে প্রস্তাব করেছে ঝুঁকিতে গিয়ে লাভ কী? এর চেয়ে বরং নির্বাচনের পর মৌসুম শুরু হোক। না, লিগ কমিটি তা মানছে না। এতে এক মৌসুম হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে লিগ কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, যে অবস্থা দেখছি তাতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ফুটবল মাঠে নামানো যাবে কি না আমি নিজেই সন্দিহান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।