...ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাচিয়া,সদাই ভাবনা,
যা কিছু পায়, হারায়ে যায়, না মানে স্বান্তনা...
কয়েকদিন আগে নাইজেরিয়া থেকে দেশে ফিরছিলাম। ফ্লাইট হলো এমিরেটস। এমিরেটস এর একটা যন্ত্রনা হলো দুনিয়ার তাবৎ জায়গা থেকে মানুষজন নিয়ে এসে দুবাই এয়ারপোর্টে জড়ো করে। তারপর সুবিধামতো ফ্লাইটে করে যাকে যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তো আসার পথে দুবাইতে ট্রানজিট পড়লো বারো ঘন্টা।
দুবাই এয়ারপোর্ট যায়গাটাকে আমার কাছে যন্ত্রনার মতো মনে হয়।
এই ওয়ারপোর্ট থেকেই যাবার পথে ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার হিসেবে বুকিং দেয়া হোটেলে পৌছার জন্য টানা তিনঘন্টা লেগেছিলো এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে। কারন একটাই এতো বিশাল এয়ারপোর্ট। কোথা থেকে কোথায় যেতে হবে বুঝে উঠতে পারি নি। কেউ কিছু বলতেও পারে না, অথবা আমি অকম্মার ধারি কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি না।
তারওপর এক একটা চেক পয়েন্টে জুতা,মুজা,বেল্ট সব খুলে প্রায় দিগম্বর হতে হয়। সেই চেক পয়েন্টই পার হয়েছি চার বার যাবার সময়। তারপর আবার বিশাল লাইনে দাড়িয়ে চোখ স্ক্যান করতে হয়েছিলো। একটা লাইনে দাড়িয়ে আধঘন্টা পর আবিষ্কার করলাম আমি মেয়েদের লাইনে দাড়িয়েছি। তাই আমাকে যদি আটচল্লিশ ঘন্টার ট্রানজিটও দেয় আমি আর দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে চেক আউট করতে রাজি না।
কিন্তু এবার আমার সহযাত্রী এরফে সহকর্মী এরফে স্কুল ফ্রেন্ডের শখ হলো দুবাই শহর দেখবেই দেখবে। আমিও আর কি করি, এবারো নানান চেকপোষ্ট পাড়ি দিয়ে চোখ মুখ স্ক্যান করে বের হলাম। সেই সূত্রে দুবাই শহরটা একটু ঘুরে দেখা হলো। আর যথারীতে ব্লগের বন্ধুদের জন্য নিয়ে আসা কিছু সংখ্যক ছবি শেয়ার না করে পারলাম না।
১.
দুবাই শহরের পথঘাট।
আমরা কি জানি এর বেশীরভাগই তৈরী হয়েছে আমাদের দেশের মজুরদের রক্তপানি করা ঘামে?
২.
বুর্জ দুবাই, পৃথিবীর সর্বোচ্চ হাইরাইজ তৈরী হচ্ছে দুবাইতে। ১৭০ তলা। মেঘের সময় নাকি এর উপরটা মেঘের উপরে উঠে যায়।
৩.
এই হাইরাইজ গুলোই কি বলে দেয় না, দুবাই নিজেকি কোন উচ্চতায় নিয়ে গেছে?
৪.
দুবাইতে যে তিনটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরী করা হচ্ছে, তার মধ্যে পাম জুমেরাহ তৈরী করা শেষ। এটা হলো পাম জুমেরাহ এর প্রবেশ পথ।
৫.
পাম জুমেরাহ তে গড়ে উঠেছে এমন সব অট্টালিকা।
৬.
পাম জুমেরাহ এর একদম শেষ প্রান্তে এই হোটেলটি। আগের ৪ নং ছবি তে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে হোটেলটির অবস্থান।
৭.
এটা হলো পাম জুমেরাহ কৃত্রিম দ্বীপের শেষ প্রান্ত। বিশ্বাস করা কঠিন এই পুরো দ্বীপটা মানুষের তৈরী।
৮.
এটা সাথে নতুন করে পারিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। বিশ্ববিখ্যাত সাততারা হোটেল "বুর্জ আল আরব"।
৯.
বুর্জ আল আরবের সাথেই একটি বীচ আছে। সেখান থেকে এর দারুন ভিউ পাওয়া যায়।
১০.
এটা দুবাইয়ের আর একটি বিখ্যাত হোটেল।
হোটেল জুমেরাহ।
১১.
দুবাই এয়ারপোর্ট। এই এয়ারপোর্ট আমার কাছে আতন্কের মতো মনে হয়। হাজারবার গেলেও আমি এখানে হারিয়ে যাবো।
১২.
আকাশ থেকে দুবাইয়ের ছবি।
তখন মনে শান্তি, দেশে ফিরছি। হোকনা সেটা দুবাইয়ের মতো চাকচিক্যে পরিপূর্ণ না। তারপরও আমার দেশে।
আরো অনেক ছবি ছিলো। দেয়া হলো না।
তবে ফেরার অভিজ্ঞতাটা ভালো হয় নি। প্লেনের যান্ত্রিক ক্রটির কারনে প্লেন এক ঘন্টা পরে আবার দুবাই ফিরে আসে। তারপর অনেকক্ষন অপেক্ষার পর আবার অন্য প্লেনে করে আমাদের পাঠানো হয়। তখন দুবাইতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। সেই ছবি দিতে ইচ্ছে করছে না।
কারন সেটা কোনভাবেই আমার দেশে নদীর বুকে সূর্য ডুবে যাবার দৃশ্যের মতো সুন্দর নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।