বায়তুল মোকার্রম মুসল্লি কমিটির বৈঠকে বক্তারা বলেছেন , বাংলাদেশের সকল মসজিদে বঙ্গবন্ধুর নামে জুমার খুতবা পাঠ করতে হবে । কমিটির বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী , ধর্ম সচিব , আ.লীগের একজন এমপিসহ দলটির কিছু গৃহপালিত মোল্লা উপস্থিত ছিলেন । (সূত্র) প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন , সেক্যুলার মোল্লা মাওলানা মেছবাহুর রহমান । মজার ব্যাপার হচ্ছে , মোল্লা মেছবাহ এখন নিজের নামের আগে মাওলানা লেখেন না । এখন লেখেন আলহাজ্ব মেছবাহ ।
! তিনি এখন দিন দিন মডার্ণ হচ্ছেন । অনেক কিছুই খাচ্ছেন, অনেক কিছুই করছেন । মেচবাহ মোল্লার সাথে ছিলেন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর পয়সায় পরিচালিত একটি ইসলামী এন জিও'র প্রধান এবং বিগত জোট সরকারের আমলে বোমাবাজির সাথে জড়িত থাকার দায়ে জেলখাটা মোল্লা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ । গত ঈদুল ফিতরের কিছু দিন আগে হঠাৎ করে এই ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া ঈদের জামাতের ইমাম নিযুক্ত করা হয় । এবং অত্যন্ত নোংরা ভাবে পূর্ববর্তী ইমামকে অপসারণ করা হয়।
এই ন্যাক্কারজনক কাজটি করেছেন , বর্তমান সরকারের বুলবুল কন্ঠি মন্ত্রি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম । আর তাকে মৌন সমর্থন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্পীকার সাহেব ।
খবরটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে । কারণ এখন থেকে হয়ত আমরা বঙ্গবন্ধু (রঃ) এর নাম খুতবাতেও শুনবো । কয়দিন পর হয়ত ,দরূদ শরিফেও আমরা পড়বো আল্লা হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া বঙ্গবন্ধু (রঃ) ।
দিন বদলের রাজনীতি এবং ডিজিটালাইজেশনের সাথে সাথে আমরা ডিজিটাল ইসলামের দিকেও অগ্রসর হচ্ছি ।
খু উ ব ভালো ।
আজ আরেকটি খবর দেখলাম । মাদ্রাসার ছাত্ররা মানব বন্ধন করেছে । (সূত্র দেখুন) আদালতের নির্দেশনা থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হচ্ছে ।
বুঝলাম না এটা কেন করা হচ্ছে ? মাদ্রাসার ছাত্ররা সবাই তো আর আ,লীগ বিরোধী না । যেমন বিশ্ববিদ্যালয় নির্লজ্জ ভাবে দলীয় করণের পর বর্তমান প্রশাসনের প্রক্টর সাহেব , ফার্সি বিভাগের সাইফূল স্যার তো আগা গোরা মাদ্রাসার ছাত্র । তিনি দশ বছর আগেও শার্ট প্যান্ট পরতেন না । মাওলানা সাঈদীর ওয়াজ আদ্যোপান্ত মুখস্থ করে নেত্রকোনা - কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে ওয়াজ ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন । ইরানের সহযোগীতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্সি বিভাগ সম্প্রসারিত হওয়ার পর তিনি পার্সি লিটারেচারে ভর্তি হন ।
এর পর ইরানীদের আশির্বাদে তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় । তিনি লেকচারার হওয়ার আগেই সুরত এবং লেবাসে পরিবর্তন আনেন । পরে মাত্র ছয় মাসে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ করতে সক্ষম হন । অত্যন্ত মেধাবী না হলে কি কেউ পাচ - ছয় মাসে বিদেশি ভাষায় ডক্টরেট পেতে পারে ?!
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কথা কি বলবো । এ ব্যাপারে একটি মজার ঘটনা শোনা যাক ।
কয়েক দিন আগে আমাদের পাড়ার কয়েক বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিল । আমিও যোগ দিলাম । তাদের দুই জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং একজন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । আমি জিজ্ঞাসা করলাম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কেমন করছে ? উত্তরে ব্রেকের ছাত্রটি বললো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে মান ভালো । আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন দিক বিবেচনায় ? সে বললো , ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জামিলুর রেজা যখন বুয়েটের অধ্যাপক তখন আরেফিন সিদ্দিকী বুয়েটের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার এবং সাধারণ ডিগ্রি পাশ ।
এখন সেই আরেফিন সিদ্দিকী সাহেব ঢা. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আর জামিল স্যার হচ্ছেন আমাদের ভিসি । আর আরেফিন স্যারের অনার্সের ডিগ্রি নেই । তিনি পাস কোর্সে এম এ পাস করে ভারতে ডক্টরেট করেছেন । কাজেই ব্র্র্যাকের স্থান কি ঢা. বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে নয় ?
মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই । বিদ্যা এবং জ্ঞান অর্জন করতে হলে এর জন্য উপযুক্ত স্থান খুজতে হবে ।
ফিরে আসি মূল কথায় । খুতবায় বঙ্গবন্ধু এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের মানব বন্ধনের খবরগুলো পড়ে আমি পুলক অনুভব করলেও এক অজানা আশংকা মনটাকে ভারাক্রান্ত করে তুলছে । তাহলে কি আমরা আরেকটি ১৫ই আগষ্টের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি । খন্দকার মোশতাকরাই কি তাহলে এই সরকারের কান্ডারী ? তা না হলে ইসলাম ধর্মে বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র কেন ? আমাদের দেশের স্বার্থ আজ কেন এত অসহায় ? আমাদের শেষ কোথায় ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।