আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘একজন আমেরিকান বিধবা’-র কাছে ‘একজন ইরাকী বিধবা’-র খোলা চিঠি



ভাই ‘ভিন্ন চিন্তা’-র ব্লগে এই অসাধারণ মর্মস্পর্শী কবিতাটি অনুবাদের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারলাম না। এধরনের ন্যারেটিভ কবিতা গদ্যরূপেই ভালো মানায় বলে আমার মনে হয়েছে। আমার দুর্বল ভাষাজ্ঞানে অনুবাদের একটা চেষ্টা করেছি। ব্লগারবন্ধুরা দেখুন পছন্দ হয় কিনা। মূল কবিতাটি গত ৬ই সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ড. মুস্তাফা কামাল শেরওয়ানি-র লেখা(Click This Link) ‘একজন আমেরিকান বিধবা’-র কাছে ‘একজন ইরাকী বিধবা’-র খোলা চিঠি (From an 'Iraqi widow' to an 'American widow' ) কাল রাতে, প্রিয় বোনটি আমার! স্বপ্নে তোমার চোখে জলকণা দেখে, শুধালেম যখন তোমায় ডেকে দুঃখ কিসের; বুকে আঁকড়ে ধরা স্বামীর ছবি দেখিয়ে, ডুকরে উঠলে তুমি, তোমরাই তো মেরেছো ওঁকে! তোমার দেশেরই এক উগ্রপন্থীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে সে।

ছবি দেখে সঙ্গে সঙ্গে চিনলাম ওকে, কারণ ওই তো জোর করে ঢুকেছিল আমার ঘরে সঙ্গীকে নিয়ে। কিশোরী মেয়েটাকে আমার চোখের সামনে যখন ছিড়ে খাচ্ছিলো ওরা, ঠেকাতে গেলে আমার স্বামীর বুকটা বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিলো, নির্লজ্জভাবে মেয়েটাকেও গুলি করে মারলো; হয়তো ‘মহান দেশ’-এর একজন নাগরিকের অভ্যাসবশতই আমাকে, আমার একমাত্র ছেলেটিকে দয়া দেখিয়ে জয়দর্পে ওরা সেদিন চলে গিয়েছিল! ওহো! আমার ছেলেটাও কি অকৃতজ্ঞ দেখো! সেকথা ভুলে গিয়ে একদিন ওদেরকে সঙ্গে নিয়ে নিজেও বোমায় উড়ে গেলো! রাগে-ক্ষোভে-দুঃখে স্তব্ধ আমার বুকে-মাথায় দাউ দাউ করে যে আগুন জ্বলছে, তা এখন সমস্ত সমুদ্রের শক্তিকেও অস্বীকার করতে পারে, ছারখার করে দিতে পারে গোটা দুনিয়াটাকেই। কিন্তু তোমার মুক্তোর মতো অশ্রুকণা আমাকে লজ্জিত করছে বোনটি আমার! তোমার বেদনার শরিক হয়ে দুঁফোটা চোখের জলও যে আর ফেলতে পারছি না। আমার স্বামী আর মেয়ের লাশের ওপর, ছেলের স্মৃতিতে ঝরে গেছে সব, চোখদুটো এখন পাথরের মতো খটখটে শুকনো হয়ে গেছে। কিন্তু তোমার চোখের জল আমার বুকের ভেতর যে ঝড় তুলেছে, তা কোনোদিনও শান্ত হবে না; যতক্ষণ না তুমি আমাকে ক্ষমা করছো, কারণ তোমার স্বামীকে যে খুন করেছে আমি তো তারই মা।

আমার এই পাপকে স্বীকার করতে, আর তা থেকে মুক্তি পেতে আমি আমার ছেলেকে ‘একজন নিহত সন্ত্রাসবাদী’ হিসাবে ঘোষণা করছি। From an 'Iraqi widow' to an 'American widow' Yesterday , my dear sister !, in my dream, I saw a cascade of tears from your eyes; When asked about the cause of your grief, You showed me the image of your husband. You hurled abuses at me, as he was killed, By a brutal terrorist in my land. I recognized him, because he was the one, Who, with his friend, barged into my house; Raped my teenage daughter before our eyes. When we resisted, they, out of dignity, Shot her dead, and also riddled, The chest of my husband with bullets. As a sign of greatness of a great nation, They showed mercy to me and my only son; Spared us, and left with a triumphant pace. Alas! My son was ungrateful, In return to their benevolent gesture; One day, he, with himself, blew them apart. I was under the siege of emotions, The raging inferno in my mind and heart; Could defy the power of all the oceans, Its flames could burn the entire world. But your tears, shimmering like pearls, Extinguished it, and made me ashamed. I was unable to share your pain, With a few drops of tears in your lap; In a downpour, they all had been shed, Over the bodies of my husband and daughter, And also in the memory of my only son. Now my eyes are stony, pallid and dry. Your tears have generated in my soul, A turmoil which will never be set at rest; Unless you forgive me, as I am the mother, Of the person who killed your husband. To atone for my sins, and show repentance, I declare my son ‘ a condemned terrorist ’. By Dr.Mustafa Kamal Sherwani September 6, 2009


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.