‘য’ ব্যবহারের নিয়ম :
০১. তৎসম শব্দে ‘য’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : যন্ত্রণা, যম, যথা, যতি ইত্যাদি।
০২. ধাতুর সাথে ঘ্যণ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের শেষে ‘য’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন : কৃ + ঘ্যণ = কার্য, পরি + ঘ্যণ = পরিহার্য।
০৩. মূল শব্দের শেষে ‘র’ থাকলে এবং সাথে ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় যুক্ত গঠিত শব্দের শেষে ‘য’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন : চোর + ষ্ণ্য = চৌর্য, সুন্দর + ষ্ণ্য = সৌন্দর্য, মধুর + ষ্ণ্য = মাধুর্য।
০৪. ইংরেজি Y বর্ণের স্থলে বাংলা অনেক সময় ‘য’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন : Yugoslavia - যুগোস্লাভিয়া, Yugi - যোগী।
০৫. মূল আরবি, ফারসি শব্দে যিম, যা, যাল, যোয়াদ, যোয়া প্রভৃতি থাকলে প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে বাংলায় ‘য’ ব্যবহৃত হয়।
যেমন : নামায, যোহর, আযান ইত্যাদি।
আলাউল হোসেন
বি.এ (অনার্স) এম. এ (বাংলা)
প্রধান শিক্ষক,
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশিনাথপুর, পাবনা-৬৬৮২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।