বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, রাষ্ট্রভাষা। এই ভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের ছাত্রসমাজ ১৯৫২ সালে রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সারা জাতিকে রক্তশপথে অঙ্গীকারবদ্ধ করে গেছে। রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম মুখ্যত মাতৃভাষায়ই চলছে। কিন্তু তার পরেও এ সত্য অস্বীকার করার কোনোই উপায় নেই যে, মাতৃভাষার প্রতি আমাদের অবহেলা ও ঔদাসীন্য দিন দিন বাড়ছে। তাই আমরা আপনাদেরকে উদাত্ত আহবান করছি যারা মাতৃভাষাকে ভালোবাসেন, কর্মক্ষেত্রে বাংলা না লিখে যাঁদের উপায় নেই, স্কুল-কলেজের শিক কিংবা শিক্ষার্থীসহ যে কোনো পেশার ব্যক্তিবর্গ আসুন বাংলা বানান সম্পর্কে আমরা সচেতন হই।
সকলের সুবিধার্তে বাংলা বানানের পাঠশালা শিরোনামে আমার সংগৃহীত কিছু নিয়ম আপনাদের জন্য নিয়মিতভাবে ব্লগে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। সুপ্রিয় ব্লগার বন্ধুরা আমার অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল পেলে অনুগ্রহপূর্বক সহযোদ্ধা হিসেবে ধরিয়ে দেবেন।
ই-কার ( ি ) ব্যবহারের নিয়ম :
০১. অতৎসম শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন :
তদ্ভব - পক্ষী > পাখি, কুম্ভীর > কুমির, বাটী > বাড়ি, বংশী > বাঁশি।
অর্ধতৎসম - মিছে, খিদে।
দেশি - ঢেঁকি, খুকি, ঢিল, মেকি।
বিদেশি - অফিস, মিস্টার (ইংরেজি)
- গরিব, অছিলা, আমির (আরবি)
- এলাচি, চিনি, লুচি (চীনা)।
০২. বাংলা ক্রিয়াবাচক শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : করি, করছি, বলি, মারি, যাচ্ছি, ধরি, লিখি ইত্যাদি।
০৩. জাতি ও ভাষার নামের শেষে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন :
বাংলাদেশি,বাঙালি, জাপানি, ইহুদি (জাতি)
ইংরেজি, আরবি, জাপানি (ভাষা)।
০৪. বিশেষণবাচক অতৎসম শব্দের শেষে ই-কার হয়। যেমন : পুলিশি, মেহনতি, গোলাপি, রেশমি ইত্যাদি।
০৫. স্ত্রীবাচক অতৎসম শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়।
যেমন : দিদি, মাসি, চাচি, বিবি, ঝি, নানি ইত্যাদি।
০৬. সমাসবদ্ধ পদের ক্ষেত্রে পূর্বপদের শেষে ঈ-কার স্থলে ই-কার হয়। যেমন :
প্রাণী-বিজ্ঞান = প্রাণিবিজ্ঞান।
মন্ত্রী-সভা = মন্ত্রিসভা।
শশী-কর = শশিকর।
০৭. সংখ্যাবাচক শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : বিশ, পঁচিশ, আশি, কোটি ইত্যাদি।
০৮. ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত হলে পদের শেষে ঈ-কার স্থলে ই-কার হয়। যেমন : প্রতিযোগী + তা = প্রতিযোগিতা, উপকারী + তা = উপকারিতা।
০৯. ‘নী’ প্রত্যয় যুক্ত হলে পদের শেষে ঈ-কার স্থলে ই-তার হয়।
যেমন : বিজয়ী + নী = বিজয়িনী।
আলাউল হোসেন
বি.এ (অনার্স) এম. এ (বাংলা)
প্রধান শিক্ষক,
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশিনাথপুর, পাবনা - ৬৬৮২
মুঠোফোন: ০১১৯৮১৬৭১৪৬
E-mail:
web:www.alaulhossain.blogspot.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।