ঈ-কার ( ী ) ব্যবহারের নিয়ম :
০১. স্ত্রীবাচক তৎসম শব্দের শেষে ঈ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : নারী, রমণী, কল্যাণী, মালিনী।
০২. বিশেষণবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার হয়। যেমন : বাসন্তী, বৈশাখী, চিরন্তনী, ফাল্গুনী।
০৩. প্রাণিবাচক তৎসম শব্দে ঈ-কার ব্যবহৃত হয়।
যেমন : পক্ষী, কুম্ভীর, হস্তী ইত্যাদি।
০৪. ব্যক্তি বা পুরুষবাচক শব্দে ঈ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : সন্ন্যাসী, মেধাবী, অপরাধী।
০৫. স্ত্রীসূচক সংখ্যাবাচক শব্দে ঈ-কার হয়। যেমন : পঞ্চমী, ষষ্ঠী, নবমী, দশমী ইত্যাদি।
০৬. ‘ইনি’ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের শেষে ঈ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন : ধনী (ধন+ইনী), জ্ঞানী, রোগী।
০৭. প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের মধ্যভাগে ঈ-কার হয়। যেমন : আত্মীয়, প্রাচীন, পূজনীয়, করণীয়।
০৮. সন্ধিঘটিত কতিপয় শব্দে ঈ-কার হয়।
যেমন : রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র, পরি + ইক্ষা = পরীক্ষা, অতি + ইব = অতীব, অভি + ইষ্ট = অভীষ্ট।
আলাউল হোসেন
বি.এ (অনার্স) এম. এ (বাংলা)
প্রধান শিক্ষক,
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশিনাথপুর, পাবনা-৬৬৮২
E-mail:
web:www.alaulhossain.blogspot.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।