কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
নিরাপদ নয় কেউ। জমি বিক্রি করতে যান ক্রয় করতে যান অথবা রেকর্ড ভুক্ত করতে যান সব স্থানে একটি প্রতারক চক্র সক্রিয়।
জমির মালিকানা প্রমাণ করা কি খুব সহজ। অথবা একখানা নিষ্কন্টক জমি।
এক দাগের কয় খানা দলিল থাকতে পারে।
আপনার ভাবতেও পারবেন না। তার সাথে আছে গ্রাম্য ভূয়া দলিল এবং ভূয়া রেকর্ডের ছড়াছড়ি।
আপনি জমি কিনতে যান অথবা বিক্রি করতে যান। নগদ নারায়ন ছাড়া জমির মালিক আপনি হতে পারবেন না।
নগদ নারায়ন বা ঘুষ নামক দ্রব্যটি যদি প্রদান না করেন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে যে কত সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে তা বলাই বাহুল্য।
ভুমি ব্যাবস্থাপনা এবং রেকর্ড যতই ডিজিটাল করা হোক তা যদি সৎ এবং দায়িত্ববান লোকদ্বারা পরিচালনা করা না হয় । সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
একটি দলিল রেজিষ্ট্রারি করতে বিক্রেতাকে প্রায় ৩১ টি প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিতে হয়। সেখানে ক্রেতাকে জমির রকম পরিবর্তনের কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় না। অথবা সেই ক্রেতা জমি কেনার পর সেই জমিতে কি কাজ করবেন তা বলেন না।
অথবা প্রশ্ন করা হয় না। সেই ক্রেতা তার ইচ্ছে মতো জমির রকম পরিবর্তন করে কৃষি জমির বিলুপ্ত করছেন । অথবা করছেন বিলাস বহুল বাড়ী নির্মান।
কোন নীতিমালা নাই থাকলে ও কার্যকর নাই। দেখবাল করা যাদের দায়িত্ব তারাও ঢাল নাই তালোয়ার নাই নীধিরাম সরকার।
যেমন খুশি চলছে দেশ। প্রতিনিয়ত কৃষি জমি কমছে। যে কৃষিই আমাদের অর্থনীতির প্রধান প্রাণ শক্তি।
সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে। প্রকৃত কৃষক বাছাই করে তাদের জমির মালিকানা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
কৃষি জমি ক্রয় বিক্রয় নিষিধ্য করা খুবই জরুরী।
কৃষি জমিই যদি না থাকে চাষাবাদ করবেন কোথায়। বাড়ীর ছাদে না সমূদ্রে। দামের চাইতে অনেক দামী সোনার চেয়েও দামী মহা মূল্যবান যা কোন দামেই নির্ধারন করা সম্ভব নয়। সেই কৃষি জমি রক্ষায় সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।