আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুতরাং, আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি, সোয়াইন ফ্লু থাকছেই!

আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...

অবশেষে বাজারে এল সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ ‌'ওসেলটামিভি'। আগামী দুই মাসের মধ্যে এক কোটি এন্টিভাইরাল ক্যাপসুল নিয়ে বাজারে আসছে আরো পাঁচটি ওষুধ কোম্পানি। সোয়াইন ফ্লুর আরেকটি ওষুধ নিয়ে চীন ইতিমধ্যে প্রস্তুত। আশা করি সেটাও বাংলাদেশে ঢুকবে শীঘ্রই। সুতরাং, আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি, সোয়াইন ফ্লু বাংলাদেশে আরো বেশ কিছুদিনের জন্য থাকছে, না থাকলেও থাকবে, সোয়াইন ফ্লুর বাপ থাকবে।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, তিন প্রস্থ কালোবাজারি হওয়ার পর কয়েক কোটি মানুষের পকেট খালি করে মহামান্য সোয়াইন ফ্লু বিদায় নেবে। সরকার আগে বলেছিল, সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ তারা বেসরকারিভাবে বাজারে ছাড়বে না। যেহেতু 'ওসেলটামিভি' বাজারে চলে এসেছে, এর সরল অর্থ এই ক্যাপসুল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকারের উচ্চমহলে জোর তদবির করতে হয়েছে। ফলে এটা স্বাভাবিক যে, লাভের ওপর লাভ না করে ওষুধ কোম্পানিগুলো সহজে হাত গুটাবে না। আর এইজন্য আতঙ্ক দরকার।

বলাবাহূল্য, সেটা হচ্ছেই ভালোমতো। সরকার তথ্য নিয়ে লুকোচুরি করছে। তাতে আতঙ্ক আরো বেশি ছড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে ঢাকা কি রাজশাহী, কুমিল্লা কি চান্দিনায় একটি-দুটি মৃত্যুর খবর সেই আতঙ্কে পরিমাণমতোই বাঘাবাড়ি ঘি ঢালছে। মারহাবা! ওষুধ আসার পর এখন ঢাকার ফার্মেসিগুলোতে মানুষ হামলে পড়ছে।

মানুষ সামান্য সর্দি-কাশি পেলেই ফার্মেসিতে ভিড় করছে। যেহেতু এই ওষুধ বেসরকারিভাবে বাজারে ছাড়া হয়েছে, সুতরাং কালোবাজারি হবেই হবে নিশ্চিত। ক্ষণগণনা বাকি শুধু। আমরা ধরে নিতে পারি যে, ‌এই ওষুধ নিয়ে শীঘ্রই 'পানিপথের যুদ্ধ' হবে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায়। জেনে রাখা ভালো, এই আতঙ্ক-বাণিজ্য শেয়ারব্যবসার বাপ নয়, দাদার দাদা! আপনিও এতে বিনিয়োগ করে অসীম সওয়াবের ভাগী হউন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.