বেলাল চৌধুরীর ফোন, হ্যালো টোকন...
একটা শোক, একটা ইনফরমেশন! আমার বাসায় আমি আর কয়েকটা চড়ুই, রুম ভাগাভাগি করে শুই ভোরের চড়ুই আমাকে ডাকে কিন্তু আমি তো ঘুমাই, মনে একটা শালিক ছিল, তাও এখন নাই। তাই ঘুমোচ্ছিলাম, সকাল ছটায় বেলাল চৌধুরীর ফোন... অনেকদিন পর তখন, সেই মুহূর্তে ফিরে এল শালিকের মন!
বেলাল চৌধুরী বললেন, ‘গতরাতে ত্রিদিব এক্সপায়ার করেছে... ওর তো কেউ নেই, সৎকার করারও কেউ নেই, বন্ধুদের জানিয়ে দাও আর তুমি এক্ষুণি চলে আসো নয়াপল্টনে জোনাকির কাছে...’
প্রেসক্লাব যাই, গিয়ে দেখি ত্রিদিব দা নাই তবে বহুদিন আগে, পটিয়া থেকে এই শহরে ঢুকে-পড়া নিঃসঙ্গ এক জিপসি-কবির ডেডবডি পড়ে আছে, যদিও ‘ওর তো কেউ নেই, সৎকার করারও কেউ নেই’ এই মমতা সত্য নয়- কারণ, আরো পঞ্চাশজন আসঙ্গ নিঃসঙ্গতাপ্রার্থী তখন লাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা কারা? কেউ নয়?
শেষরাতে বৃষ্টির পর ভীষণ মেঘ হয়ে থমকে ছিল মৌরি*। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল, সব্বাইকে বলি: দাহপূর্ব দেহ থেকে শাদাকাপড় সরাও, কেননা, ছাই হবার আগেই আমি দেখতে চাই- একদিন কবি যা জানিয়েছিলেন- অঙ্গে আমার বহুবর্ণের দাগ...
২০০৫
*মৌরি; বেলাল চৌধুরী কন্যা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।