সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
শিক্ষা মানুষকে যথাস্থানে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক। এটি এক আলোক বর্তিকা, যা মানবিক মুল্যবোধ জাগ্রত করার অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে এবং উত্কৃষ্ঠ পথের সন্ধান দিয়ে থাকে। অন্য কথায় শিক্ষা মানুষকে এমনভাবে সচেতন সজ্ঞান ও সক্রীয় করে তুলে যা পর্যাক্রমে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরূত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে, মানব জাতিকে মহান ও সুন্দর করে কল্যাণময় পথে পরিচালিত করতে এর মত বাস্তব বান্ধব আর নেই। কারন মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, আর শিক্ষা ব্যতিত সুস্থ সমাজ গঠিত হয়না, এবং সুস্থ সমাজ গঠিত হয় সুশিক্ষিত ব্যক্তি দ্বারা। যে কোন ভাষা, যে কোন কল্যাণময় শিক্ষা গ্রহন করা ইসলামে কোন নিষেধজ্ঞা নেই।
অপর দিকে মানুষের বুদ্ধি ও মেধার যোগ্যেতা ইন্দ্রিয়র উপর নির্ভশীল, সুতরাং ইন্দ্রিয়ের সংরক্ষণ জরূরি। বুদ্ধি ও চিন্তার যোগ্যতাকে উত্কর্ষিত করতে ও মেদাকে শানিত করতে শিক্ষা প্রয়োজনীয়তা অনস্বিকার্য। এ জন্য মানুষের অধিকার রয়েছে সকল বিষয়ে শিক্ষার সযোগ অর্জন করা। বর্তমান পৃথিবীর সমাজ জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, জাহেলী সমাজের চেয়েও কোন ভাবেই কম নয়, অশান্তি আর দুর্নীতির মহাভিড়। বাস অনোপযোগী পৃথিবী।
ইসলামের কন্ঠ চেপে ধরে খোদাদ্রোহীরা। অরাজকতার ধূম্রজালে আবদ্ধ মানব কুল, কোথাও নেই সামান্যতম শান্তির নীড়,মানবরূপী অমানবের অসহনীয় নির্যাতন আর নির্যাতন মুক্তির অন্বেষায় দিশে হারা অস্থির মানুষ। হবে কী কোথাও সত্যের আশ্রয়? কাটবে কী কখনো আধাঁর? সামান্যত আলো হবে খানে খানে?উত্তর....পরিস্কার চৌদ্দ শত বছর পুর্বর নবীর সাহাবীদের তাজা রক্তে দ্বারা লেখা হয়েছিল আদর্শ সমাজ, যদি বর্তমানে সমাজের রঙ ঢং সেই আদর্শ সমাজের রঙ ঢং এর অনুরূপ হয়ে যায়,তবেই হবে সত্যের সমাদর। মিথ্যার অনাদর, আলোর সমাগম, আধাঁরের অবসান। তাই আসুন কল্যাণমুখি সব দরনের শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু করার চেষ্টা করি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কল্যাণকর সব ধরনের শিক্ষা শিখার তৌফীক দান করূক।
ওয়ামা তৌফীকি ইল্লা বিল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।