আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
ইদানিং বুলগে কুবতের ছড়াছড়ি, মনে হয় আবেগের তোরে ভাইসা গেলো বাঙ্গালী। তাই কাইলকা অফিস থিকা বাইর হইয়া গাড়ীর এসি ফুল কইরা দিলাম ঘুম। হঠাৎ গাড়ী থামাইয়া "খট" কইরা শব্দ শুনলাম। দেখি ড্রাইভার আমার লগের দরজার কাচ খান উঠাই দিয়া কয়," ভাইজান, এসি ফুল সাইরা কাচ খুলন ঠিক না!" বুঝার জন্য আমার মাথার ব্রিটিশ আমলের বিখ্যাত সিরাজ ভাই (তৎকালীন বাংলার বেকুব নবাব) টাইপ ইন্টেল প্রসেসর টানা ৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ড টাইম নিলো।
তা বুইঝা কিছুই করলাম না, দিলাম আরেকখান ঘুম। তখন স্বপ্নে এই কোবতে খান পাইলাম!
হাতি কেনো আকাশে
জল খালি গ্লাসে
টিকটিকি নাচে কেন
খাসী গায় গান
মাথা কেনো কাছে আসে
যদি টানি কান?
ঈদ মোবারক!
গাড়ীর থিকা নাইমা লগে লগে রাস্তাতেই মোবাইলে টাইপ মারলাম, তারপর পাঠায় দিলাম ১০-১২ জনরে!
বাসায় গিয়া মুখ হাত দিয়া খাইতে বসলাম মোবাইলে চার্জ দিয়া। কিছুক্ষণ পর পর মোবাইলে এসএমএস আইসা ভরা শুরু করলো। আমি খাইয়া দাইয়া ভাবলাম একখান ঘুম দেই। দিয়াও দিলাম ঘুম, ঘুম থিকা উঠলাম সকাল ৭:১৫ মিনিটে।
আর ১:৪৫ ঘন্টার জন্য ১২ ঘন্টা ঘুম হইলো না! আফসুস!
মোবাইল হাতে নিয়া কিছু এসএমএসের স্টাইল দেখলাম!
১ম এসএমএস: একজন সামু বুলগার
মাথার কয়টা তার ছিড়ছে, এইটা গুননের জন্য একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান চাইয়া সামুতে এ্যাড দাও!
২য় এসএমএস: একজন সামু বুলগার আর আমার প্রাক্তন ভার্সিটির ক্লাসমেট আর শয়তানীর সহযোগী
এই শরৎকালীন ঈদের চান আমাগো থুইয়া কেমনে দেখলা? পাবনা কি খুব কাছেই দেখা যাইতাছে? ভালাই হইছে। তুমার লিগা আমার টিকিট কাটবার হইলো না, তুমি নিজেই ভর্তি হইলা দেইখা জাতী অখন ধন্য হইয়া গেলো!
৩য় এসএমএস: আরেকজন বুলগার
ঈদের চান কি পাইকারী হারে বিক্রী হইতাছে, তাইলে একখান কাম করো আমার ছুটো বোইনটারে একটা কিন্যা দাও, ওরে আর কান ধইরা চান দেখাইতে ভালা লাগে না!
এগুলান টপ ক্লাশ হইছে দেইখা পুস্টাইলাম, বাকী এসএমএস গুলান টপ হইতে ব্যার্থ হইছে!
যাই হোউক, আইজকা মাঝরাইতের একখান এক্সপেরিয়েন্স কই।
স্বপ্নে ব্যাপক কাহিনী যুক্ত জিনিস দেখতাছিলাম, পুরাই এ্যাডাল্টের দিকে মোড় নিতাছিলো, মাগার এই সময় কথা না বার্তা নাই গেলো ঘুম ভাইঙ্গা! চাইয়া দেখি আমার হাত খালি কাপে। আমি ভাবলাম হাত কাপে কেন, প্রেসার হইলো নাকি? কিছু এসপার ওসপার করতে না পাইরা মনে একখান আফসুস লইয়া দিলাম আবার ঘুম!
সকালে উইঠা বোইনের ঘুম ভাইঙ্গাইলাম। সাত সকালে ওর ঘুম ভাইঙ্গা আমার দিকে লাল চক্ষু নিয়া এমুন ভাবে তাকাইলো যে জেনিফার লোপেজ অভিনীত এ্যানাকোন্ডা মুভীর সেই বড় সুন্দরী সাপের মতো আমারে খাইয়া ফেলাইবো! আমি কইলাম, "গতকাইল কি কিছু হইছে?"
: কেন তুমি টের পাও নাই? আমার খাট দেখি ভোর বেলা কইড়া উইঠছে।
আমি ভাবলাম বাসায় চোর ঢুকছে। আমি জীবনিরে (জীবন হলো আমাদের বাসার কাজের মেয়েটা) ডাক দিয়া কইলাম খাটের নীচে কি। ও কইলো এইটা তো বক্স খাট! তখন বুঝলাম আসলে ভূমিকম্প হইছে!
এইটা শুনার পর মনে কিছুটা শান্তি পাইলাম। মাগার অফিসে আইসা এক কলিগরে কইলাম," বস, কালকা রাইতে ভূমিকম্প হইছে মনে হয়। আমি দেখলাম সব কিছু ঠিক আছে মাগার ডাইন হাত খান খালি কাপে!"
এইটা কইবার পারলাম না, অমনি কমেন্ট শুরু হইয়া গেলো!
১) কন কি? আপনের কি খালি হাত কাপছে? তাইলে শিওর আপনের মিড়কি আছে, নাইলে মানুষের দালান কাপে আর আপনের কাপে হাত! যান এইচএসই (এইডা হইলো আমাগো এমপ্লয়ীগো লিগা একখান সেমি ডাক্তারখানা বা চেম্বার) তে গিয়া ১৪ খান ইন্জ্ঞেকশন লই আসেন!
২) কপাল ভালো আপনের লুঙ্গী কাপে নাই, তাইলে সাড়ে সর্বনাশ হইয়া যাইতো!
বাকী গুলান আর কইলাম না, ঐগুলান আরো ভালগার!
ইদানিং দিনে দিনে দিনকাল ভালগারময় হইয়া যাইতাছে, চাই সেইডা অফিসে হোউক অথবা অজাতীয় বিজাতীয় সংসদ!
দোয়া রাইখেন ভাইসকল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।